ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্টে সম্ভাব্য ৩০ সেশনের কেবল ১৬ সেশন হয়েছে খেলা। চার ইনিংসের একটিও বাংলাদেশে ব্যাট করতে পারেনি ৫০ ওভার। একবারও করতে পারেনি দুইশ। দুই টেস্টে হাফসেঞ্চুরি মোটে দুটি। একটি টেস্টও দেখেনি চতুর্থ সকালের মুখ।
কিছু ব্যতিক্রম বাদে বিদেশের মাঠে ব্যর্থতাই বাংলাদেশের মূল চিত্র। টেস্ট আঙিনায় ১৮ বছরের পথচলায় বিদেশে ৫১ টেস্টের কেবল জিতেছে চারটিতে। হার ৪৪টিতে। চার জয়ের দুটিই আবার ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে। একটি জিম্বাবুয়েতে। বড় দলগুলির মাঠে জয় কেবল গত বছর শ্রীলঙ্কায় জয়।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে তাও আশাবাদী ছিলেন অনেকে। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের নিচে ছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু দুই টেস্টে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ।
গত ডিসেম্বরে এই দফায় টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া পর সাকিব বলেছিলেন, তার লক্ষ্য বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশর পারফরম্যান্স ভালো করা। কাজটি কতটা কঠিন, নিশ্চয়ই এখন বুঝত পারছেন অধিনায়ক।
আরেকটি ব্যর্থতার পর দেশের বাইরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠল আবার। সাকিব চেষ্টা করলেন সমাধান খোঁজার।
“এটা অনেক বড় ইস্যু। ১৮-১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলছি আমরা, দেশের বাইরে কখনোই ভালো করিনি। অবশ্যই কিছু জায়গায় কাজ করতে হবে। কোচিং স্টাফ, বোর্ড, সিনিয়র ক্রিকেটার, সবাইকে সেসব জায়গায় দৃষ্টি দিতে হবে এবং সেসব জায়গায় কাজ করতে হবে যে বাইরের কন্ডিশনে উন্নতি করতে পারি।”