ইমামের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

শুরুটা করেছিলেন আশির দশকের ওয়ানডের গতিতে। পরে সেটি পুষিয়ে দিয়ে ইমাম-উল-হক উপহার দিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ফখর জামানের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে গড়ে দিলেন শক্ত ভিত। টি-টোয়েন্টিতে নজর কাড়ার পর ওয়ানডে অভিষেকেও ঝড় তুললেন আসিফ আলি। এরপর পাকিস্তানের বোলারদের সামনে উড়ে গেল জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2018, 05:09 PM
Updated : 14 July 2018, 10:34 AM

শক্তির বিচারে এমনিতেই দুই দলের তুলনা চলে না। বকেয়া বেতন-ভাতা বিতর্কে শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার না থাকায় জিম্বাবুয়ে হয়ে পড়েছে আরও রুগ্ন। সেটির প্রতিফলন মাঠের ক্রিকেটে। ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান জিতেছে ২০১ রানে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয় এটিই।

বুলাওয়ায়োতে শুক্রবার ইমামের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান ৫০ ওভারে তুলেছিল ৩০৮ রান। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ১০৭ রানেই।

বরাবরই ব্যাটিং স্বর্গ বলে পরিচিত কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর এটিই।

পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টস হেরে। দুই ওপেনার ইমাম ও ফখরের ব্যাটে ছিল দুই রকম সুর। ফখর যথারীতি ব্যাট করেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ইমাম ছিলেন ধীরগতির।

৫০ বল যখন খেলা হয়ে গেছে ইমামের, স্ট্রাইক রেট তখনও কেবল ৫০! তার মন্থরতার কারণেই দলীয় পঞ্চাশ ছুঁতে পাকিস্তানের লেগে যায় ১৪ ওভার।

তবে থিতু হওয়ার পর বাড়িয়েছেন রানের গতি। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৩ রান। ৭০ বলে ৬০ রান করা ফখরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত অফ স্পিনার লিয়াম রোচ।

ইমাম ফিফটি স্পর্শ করেছিলেন ৭৫ বলে। তবে পরের পঞ্চাশ ছুঁতে লেগেছে তার মাত্র ৩৪ বল। শেষ পর্যন্ত বাঁহাতি ওপেনার আউট হয়েছেন ১৩৪ বলে ১২৮ রান করে।

সেঞ্চুরি দিয়েই গত অক্টোবরে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ইমাম। তৃতীয় ওয়ানডেতে খেলেছিলেন অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস। পঞ্চম ওয়ানডেতে করলেন আরও একটি সেঞ্চুরি।

মিডল অর্ডারে বাবর আজম ও শোয়ব মালিক ভালো শুরু করলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। শেষ দিকে দ্রুত রানের দাবি মিটিয়েছেন অভিষিক্ত আসিফ আলি। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ২৫ বলে কলেছেন ৪৬।

পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের সামনে এই রান এমনিতেই ছিল জিম্বাবুয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে। জয়ের তাড়না তো বহুদূর, তাদের ব্যাটিংয়ে ছিল না লড়াইয়ের ছাপও।

নতুন বলে জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি পেসার উসমান খান। প্রথম পরিবর্তিত বোলার ফাহিম আশরাফও নেন দুটি। ওপেনিংয়ে একটু টিকে থাকা চামু চিবাবার স্টাম্প উপড়ে দেন হাসান আলি। ৫৫ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় ৫ উইকেট।

অভিষিক্ত রায়ান মারি অপরাজিত ৩২ রান করে দলের রানকে নিয় যান তিন অঙ্কে। পেসারদের দাপটের পর ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দেন লেগ স্পিনার শাদাব খান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩০৮/৭ (ইমাম ১২৮, ফখর ৬০, বাবর ৩০, মালিক ২২, আসিফ ৪৬, ফাহিম ০, সরফরাজ ১৩*, হাসান ০, শাদাব ২*; চাতারা ২/৪৯, মুজরাবানি ১/৫৯, তিরিপানো ২/৬৬, চিবাবা ০/২২, রোচ ১/৫৪, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৫৬)।

জিম্বাবুয়ে: ৩৫ ওভরে ১০৭ (চারি ২, চিবাবা ২০, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৭, মুসাকান্দা ২১, মুর ২, মারি ৩২*, তিরিপানো ১২, রোচ ৪, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ০, চাতারা ৫, মুজারাবানি ০; আমির ১/২১, উসমান ২/২১, ফাহিম ২/১৪, হাসান ১/৬, শাদাব ৪/৩২, মালিক ০/১২)।

ফল: পাকিস্তান ২০১ রানে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমাম-উল-হক