ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে সাময়িক নিষিদ্ধ শেহজাদ

ডোপ পরীক্ষা হয়ে গেছে আড়াই মাস আগে। একজন ক্রিকেটার পজিটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পিসিবি, এরপরও পেরিয়ে গেছে ২০ দিন। ক্রিকেটারটির নামও ছড়িয়ে পড়েছিল সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে নামটি জানাচ্ছিল না পাকিস্তানি বোর্ড। প্রবল সমালোচনার পর অবশেষে মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে ক্রিকেটারটি আহমেদ শেহজাদ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 July 2018, 02:08 PM
Updated : 10 July 2018, 02:08 PM

পাকিস্তানের ঘরোয়া একদিনের টুর্নামেন্ট চলার সময় ওই রুটিন ডোপ পরীক্ষা হয়েছিল এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে। সেখানে শেহজাদের ধরা পড়ার খবর চাপা পড়েই ছিল। কিন্তু গত মাসে জিম্বাবুয়ে সফরের দল নির্বাচনর সভায় শেহজাদের নাম এলে জানানো হয় ডোপ পরীক্ষার খবর। দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে শেহজাদের নাম। গত ২০ জুন পিসিবিও স্বীকার করে একজন ক্রিকেটার পজিটিভ হয়েছেন, তবে নাম জানায়নি বোর্ড।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অনুমোদিত অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি থেকে কেমিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরই কেবল ধরা পড়া ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করা যাবে। সেই নিয়মের কথা বলে তখন নামটি জানায়নি বোর্ড। এরপর অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত কয়েকদিনে আবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আলোয় আনে প্রসঙ্গটি। শেষ পর্যন্ত নামটি নিশ্চিত করে পিসিবি জানিয়েছে, অভিযোগ গঠন করা হয়েছে শেহজাদের বিরুদ্ধে।

নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ও যে কোনো দেশের বোর্ড ও তাদের অনুমোদিত ক্রিকেটে সাময়িক নিষিদ্ধ থাকবেন শেহজাদ। অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য সময় পাবেন ১৪ দিন।

এই সময়ে তিনি নিজের ‘বি’ নমুনা পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। সেটায় পজিটিভ না হলে নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষনিক উঠে যাবে। একই সঙ্গে শাস্তির আগে চাইলে শুনানির আবেদনও করতে পারবেন।

অভিযোগ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন শেহজাদ। নিষিদ্ধ উপাদানের ওপর নির্ভর করবে শাস্তির মাত্রা।

এর আগে ২০১৫ সালে কোকেন নিয়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানি স্পিনার রাজা হাসান। আরও দুই স্পিনার, ইয়াসির শাহ ও আব্দুর রহমানও ডোপ পাপে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন মাস করে।