* এই প্রথম টেস্টের প্রথম সকালে লাঞ্চের আগে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পি সারা ওভালে প্রথম দিন লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ৯ উইকেট। সেবার লাঞ্চের পর দ্বিতীয় বলে শেষ হয়েছিল ইনিংস।
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৬২ রানে। টেস্টে সেটিই ছিল নিজেদের সর্বনিম্ন রান। এবার হলো পঞ্চাশের নিচে প্রথমবার গুটিয়ে যাওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা।
* বাংলাদেশের ৪৩ রানের চেয়ে কম রানের ইনিংস টেস্ট ইতিহাসে আছে আর কেবল ৯টি।
* গত ৪৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রানের ইনিংস এটি। ১৯৭৪ সালের জুনে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত।
* ১৮.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে নিজেদের সবচেয়ে ছোট ইনিংস। ৬২ রানের সেই ইনিংসে ২৫.২ ওভার ছিল আগের সবচেয়ে ছোট ইনিংস। ওভারের হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে ছোট ইনিংস আছে আর কেবল ৫টি।
* ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সব দল মিলিয়েই সবচেয়ে কম রানের ইনিংস এটি। ১৯৯৪ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ইংল্যান্ডের ৪৬ ছিল ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ও ক্যারিবিয়ায় আগের সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড।
* বাংলাদেশের চার, পাঁচ ও ছয়ে নামা তিন ব্যাটসম্যানের কেউই করতে পারেননি রান। মিডল অর্ডারের এই তিনের রান না পাওয়ার ঘটনা টেস্ট ইতিহাস হলো মাত্র ৬ বার। সবশেষ ২০১০ সালে লর্ডসে পাকিস্তনের বিপক্ষে শূন্য রানে ফিরেছিলেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন, পল কলিংউড ও ওয়েন মর্গ্যান।
* দলের ৫৮ শতাংশ রান একাই করেছেন লিটন দাস, যেটি বাংলাদেশের রেকর্ড। তবে রেকর্ডটি নিয়ে গর্ব করার সুযোগ কমই পাবেন এই ওপেনার। রান তো করেছেন কেবলই ২৫!
* ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই ৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন কেমার রোচ। ১৯৯৯ সাল থেকে বল প্রতি রেকর্ড থাকার পর প্রথম ১০ ওভারে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানে ৫টি নিয়েছিলেন ভার্নন ফিল্যান্ডার। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ রানে ৫টি নিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড।