পাকিস্তানের একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকমল বলেন, “বিশ্বকাপের এক ম্যাচে দুটি বল ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম আমি এবং তারা আমাকে ২ লাখ ডলার দিতে রাজি ছিল। এটা ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ, ভারতের বিপক্ষে। সত্যি বলতে, ভারতের বিপক্ষে যত ম্যাচই খেলেছি, কোনো একটি অজুহাত দেখিয়ে ম্যাচ না খেলার জন্য তারা আমাকে অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমি সেই লোকগুলোকে বলেছি যে পাকিস্তানের হয়ে খেলার ব্যাপারে আমি সৎ, এসব নিয়ে যেন আর কখনও কথা না বলে।”
পিসিবি ও আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেলে বা সামান্যতম ইঙ্গিত পেলেও সেটি জানাতে হবে। শুধু ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকাই নয়, প্রস্তাব পেলে সেটি না জানানোও অপরাধ।
তিন বছর আগের ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আকমল তখন জানিয়েছিলেন কিনা, সেটি পরিষ্কার নয় এখনও। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে প্রস্তাব পাওয়ার কথা তখন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন আকমল। ২০১৫ বিশ্বকাপের কথা জানিয়েছিলেন বলে কোনো খবর নেই।
বক্তব্যের ব্যাখ্যার জন্য আগামী বুধবার আকমলকে লাহোরে পিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, তারা এর মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং শিগগিরই আকমলের সঙ্গে কথা বলবে তারা।