ক্যারিবিয়ানের প্রথম দিন-রাতের টেস্টের প্রথম দিনে বৃষ্টির কারণে খেলা হতে পেরেছে কেবল ৪৬.৩ ওভার। শুরুতে ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৩২ রানে।
এক পর্যায়ে ৫৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকেই ষষ্ঠ উইকেটে ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন ডাওরিচ ও অধিনায়ক হোল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে আলোচনায় ছিল কেনসিংটন ওভালের উইকেট। এক সময় এই উইকেট পরীক্ষা নিত ব্যাটসম্যানদের শৌর্য আর সামর্থ্যের। ছিল বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটগুলোর একটি। তবে ক্যারিবিয়ানের অন্য সব উইকেটের মতো এটিও হারিয়েছিল তার ঐতিহ্য। এই টেস্ট যেন ফিরে গেল অতীতে!
এবার সবুজ উইকেট। এতটাই সবুজ যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের উইকেটকিপার, এখনকার ধারাভাষ্যকার জেফ ডুজন বললেন, “ব্রিজটাউনে এত সবুজ উইকেট জীবন দেখিনি।” সবুজের ফাঁকে বের হয়ে আছে কিছু বাদামী মাটিও। বাউন্স ছিল তাই একটু অসমান।
এমন উইকেটেই টস জিতে ব্যাটিংয়ের সাহস দেখান হোল্ডার। তার ব্যাটসম্যানরা অবশ্য সেই সাহসের প্রতিফলন ফেলতে পারেননি ২২ গজে।
নতুন বলে জ্বলে ওঠেন সুরাঙ্গা লাকমল। দিনেশ চান্দিমালের নিষেধাজ্ঞায় শ্রীলঙ্কার এই টেস্টের অধিনায়ক শুরুতেই ফেরান দুই ক্যারিয়িান ওপেনারকে। আরেকপাশে লাহিরু কুমারার শিকার তিনে নামা কাইরান পাওয়েল। ৬ ওভারের মধ্যে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট।
শেই হোপ চেষ্টা করছিলেন ডাওরিচের সঙ্গে জুটি বাধার। কিন্তু সদ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব জয়ী হোপকেও ফেরান রাজিথা। ক্যারিবিয়ানরা পড়ে যায় ঘোর সঙ্কটে।
প্রতিরোধের গল্প সেখান থেকেই। প্রথম টেস্টে ডাওরিচ ও হোল্ডারদের জুটি গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়েছিল বড় স্কোরের পথে। এবারও এগিয়ে নিচ্ছে স্বস্তির পথে।
কঠিন উইকেটে ডাওরিচের সাহসিকতা, বল সিলেকশন ও পরিণত ব্যাটিং ছিল দেখার মতো। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় টেস্টে ফিফটির পর এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এবার অপরাজিত ৬০ রানে। ৩৩ রানে খেলছেন অধিনায়ক হোল্ডার।
দ্বিতীয় দিনেও এই দুজনের ব্যাটে তাকিয়ে থাকবে দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৪৬.৩ ওভারে ১৩২/৫ (ব্র্যাথওয়েট ২, স্মিথ ২, পাওয়েল ৪, হোপ ১১, চেইস ১৪, ডাওরিচ ৬০*, হোল্ডার ৩৩*; লাকমল ২/৪২, কুমারা ১/৪০, রাজিথা ২/৩৬, দিলরুয়ান ০/৮)