ইউটিউব দেখে বাংলাদেশের নতুন কোচের ‘হোমওয়ার্ক’

প্রতিপক্ষ নিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ করাটা ক্রিকেট কোচদের নিত্যদিনের কাজ। তবে স্টিভ রোডসের একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতাও হলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে দেশে বাংলাদেশ দলের মাত্র তিন দিনের ক্যাম্প। ক্যারিবিয়ানে যাওয়ার পর ঢুকে যেতে হবে সিরিজে। নতুন ছাত্রদের সম্পর্কে ভালো করে ধারণা নেওয়ার সময় কম। বাংলাদেশে আসার আগে তাই গত কিছু দিনে ইন্টারনেট ঘেঁটে ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছেন নতুন কোচ, ভিডিও দেখেছেন ইউটিউবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2018, 05:54 PM
Updated : 20 June 2018, 07:11 PM

তিন দিনের ক্যাম্পের প্রথম দিন ছিল বুধবার। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে রোডসের আনুষ্ঠানিক দায়িত্বও শুরু হলো এদিন। অনুশীলন শুরুর আগে কিছুক্ষণ কথা বলেছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তার পর মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের।

ক্রিকেটারদের জানার জন্য সময় খুব অল্প, সেটি নিয়ে দ্বিমত নেই রোডসের। জানালেন, চেষ্টা করছেন দ্রুতই জানাশোনা গড়ে তোলার।

“সবকিছুই আমার জন্য নতুন। ক্রিকেটারদের সম্পর্কে খুব বেশি জানি না। তবে গত কিছুদিন বাড়িতে বসে নিয়মিত ওদের সম্পর্কে ইন্টারনেটে ঘেঁটেছি। ইউটিউবে হাইলাইটস দেখেছি। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি চেষ্টা করেছি সাপোর্ট স্টাফদের সম্পর্কেও ধারণা নেওয়ার।”

“সত্যি বলতে, সবকিছু একটু তাড়াহুড়ো করেই করতে হচ্ছে। তবে আমরা ক্যারিবিয়ানে সফরে যাচ্ছি। আমি এখন তাকিয়ে সেদিকেই। চেষ্টা করব দলকে তৈরি করে তুলতে এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে।”

বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য নতুন কোচ যেমন নতুন এক অধ্যায়, তেমনি রোডসের ক্যারিয়ারেও এটি রোমাঞ্চকর এক মোড়। কাউন্টি ক্রিকেটে কোচিংয়ের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, জাতীয় পর্যায়েও নানা সময়ে টুকটাক কাজ করেছেন। কিন্তু এই প্রথম তিনি কোনো জাতীয় দলের প্রধান কোচ।

তবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি মুখিয়ে আছেন। মনেপ্রাণে মিশে যেতে চাইছেন নতুন দলের সঙ্গে। বাংলাদেশ দলকে প্রতীকী নামে ডাকা হয় ‘টাইগার’ নামে। রোডসও নিজেকে এখন বলছেন টাইগার।

“ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি দারুণ সুযোগ। কাউন্টি ক্রিকেটে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। ইংল্যান্ড লায়ন্সের সঙ্গে ছিলাম, বাংলাদেশ সফরের ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। শিক্ষানবীশ হিসেবে তাই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজাত ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। বাংলাদেশের দারুণ কিছু আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার আছে।”

“আমার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এখন আমি ‘টাইগার’ হয়ে উঠেছি। অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছি, কোচিং ক্যারিয়ারও অনেক লম্বা। যে দলেই কাজ করি না কেন, জয়ের জন্য শতভাগ দিয়েই কাজ করতে হয়। যদি সেটা বিশ্বকাপের মতো আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় হয়, তাহলে তো আরও দারুণ। আমার মনে হয়, স্টিভ রোডসের টাইগার হয়ে ওঠার সময় এখনই।”