বল টেম্পারিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ চান্দিমাল

বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক টেস্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে দিনেশ চান্দিমালকে। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক খেলতে পারবেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে। পাশাপাশি ম্যাচ ফির পুরোটাই জরিমানা করা হয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2018, 08:00 PM
Updated : 19 June 2018, 08:50 PM

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের পর আনুষ্ঠানিক শুনানিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় চান্দিমালকে এই শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ।

চান্দিমাল ও শ্রীলঙ্কার বিপদ শেষ নয় এখানেই। আলোচিত এই টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে মাঠে নামতে দুই ঘণ্টা দেরি করায় ক্রিকেটের চেতনা পরিপন্থী আচরণের অভিযোগও আনা হয়েছে চান্দিমাল, কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে ও ম্যানেজার আসাঙ্কা গুরুসিনহার বিরুদ্ধে। দোষী প্রমাণিত হলে তিনজনই নিষিদ্ধ হতে পারেন দুই থেকে চারটি টেস্ট।

সেন্ট লুসিয়া টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কানদের বল রক্ষণাবেক্ষনের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ জাগে আম্পায়ারদের। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া লঙ্কানরা চেষ্টা করছিল উইকেট নিতে। সন্দেহটা তীব্র ছিল বলে মাঠের দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গুল্ড, তৃতীয় আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো ব্রডকাস্টারের কাছে ভিডিও ফুটেজ দেখতে চান।

ফুটেজ দেখতে পান তারা তৃতীয় দিন সকালে। একটি জায়গায় আম্পায়াররা দেখতে পান, চান্দিমাল পকেট থেকে কিছু একটা নিয়ে মুখে দিচ্ছেন, তার পরপরই সেই লালা বলে লাগিয়ে দিচ্ছেন বোলার লাহিরু কুমারার হাতে। সেই ফুটেজ দেখার পর আম্পায়াররা বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি ৫ রান পেনাল্টি করা হয় শ্রীলঙ্কাকে। সিদ্ধান্ত হয় বল বদলানোর।

চান্দিমাল বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাই টেস্ট শেষে শুনানিতে ডাকা হয় তাকে। প্রমাণ হিসেবে দেখানো হয় ভিডিও ফুটেজ। চান্দিমাল পকেট থেকে একটা কিছু বের করে মুখে নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন। তবে দাবি করেন, সেই বস্তুটি কি ছিল, তা মনে করতে পারছেন না। লঙ্কান অধিনায়কের এই ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি ম্যাচ রেফারির কাছে। আচরণবিধির এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয় তাকে।

শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় পাবেন চান্দিমাল। তবে তাকে ও তার দলকে ভাবতে হবে নতুন অভিযোগ নিয়েও। ৫ রান পেনাল্টি ও বল বদলানোর প্রতিবাদে সেদিন সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে মাঠে নেমেছিলেন লঙ্কানরা। ক্রিকেটের চেতনা পরিপন্থী আচরণের অভিযোগের পর এখন তাদের দেখাতে হবে কোনো যৌক্তিক কারণ। নইলে অপেক্ষায় আরও বড় শাস্তি।