আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার পর আফগানিস্তান সিরিজের আগে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একদিন অনুশীলন করতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজ। সেদিনই জানান পায়ের অগ্রভাগে ব্যথার কথা। দুই দিন বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে।
দল ভারতে যাওয়ার আগের দিন ব্যথা তীব্র হলে এমআরআই করানো হয়। তাতে ধরা পরে ‘হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার।’ আফগানিস্তান সিরিজ তাই আর খেলা হয়নি।
তার সেই চোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেকে। চোট এতটা গুরুতর, সেটা মুস্তাফিজ জানাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিসিবি। মুস্তাফিজের বারংবার চোট নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও।
মুস্তাফিজ অবশ্য দায় পুরোপুরি দিলেন নিজের ভাগ্যকে।
“খেলতে গেলে এমন ইনজুরি হবেই। এখন আমার কপালে এমন ছিল, কী আর করার আছে!”
মুস্তাফিজ জানালেন, চোট অনেকটাই ঠিক হয়ে এসেছে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েও চালিয়ে যেতে হবে কাজ।
“এখন অনেক ভালো অবস্থা। প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছি। প্রতিদিনের রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করছি।”
“ঈদের জন্যও কয়েকদিনের প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে আমাকে। যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, সেটি মেনে চলার চেষ্টা করছি। ঈদের পর আবার পরীক্ষা করে দেখবে।”
অবস্থার উন্নতি হলেও সহসাই ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে তার না থাকাটা এক রকম নিশ্চিতই। মুস্তাফিজের ঈদ আনন্দ তাই ভালো-মন্দ মিশিয়ে।
“বাড়িতে যাচ্ছি অনেক দিন পর। ঈদে বাড়ি গেলে ভালো লাগে। বাবা-মা ও পরিবারের সবাই থাকবে। টেস্ট দলে থাকতে পারলেও ভালো লাগত। এখন যেমন শুধু পরিবার নিয়ে থাকতে হবে, দলের সঙ্গে থাকলে দুই দিক থেকেই ভালো লাগত।”