সাকিবের চোখে হতাশার সিরিজ

হতে পারত সান্ত্বনা। এনে দিতে পারত কিছুটা স্বস্তি। শেষ পর্যন্ত হলো না কিছুই। হাতছানি দিয়েও ধরা দিল না জয়। মিলিয়ে গেল স্বস্তির আশাও। আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশ। সিরিজে নিজেদের পারফরম্যান্সে হতাশ সাকিব আল হাসান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 07:26 PM
Updated : 7 June 2018, 10:49 PM

সিরিজের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ১ রানে। সিরিজের ফলাফল ৩-০। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে সেই হতাশারই প্রতিফলন।

“আগের দুই ম্যাচের চেয়ে আমরা ভালো খেলেছি। তবে সিরিজটা আমরা যেভাবে খেলেছি, অবশ্যই খুবই হতাশার। অনেক কিছুই খতিয়ে দেখার আছে এই সিরিজের পারফরম্যান্সের। আরও অনেক ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামতে হবে আমাদের।”

আগের দুই ম্যাচের চেয়ে এদিন বোলিং পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো ছিল বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের আটকে রাখা গিয়েছিল ১৪৫ রানে। কিন্তু ব্যাটিং আবারও ভুগিয়েছে দলকে।

৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে উদ্ধার করেছিল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর জুটি। কিন্তু জয়ের তীরে দলকে নিতে পারেননি দুজন। সাকিবের হতাশার সুরে মিশে থাকল সেই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গুলো।

“আমরা মোটামুটি জুতসই স্কোরে ওদের আটকে রাখতে পেরেছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, এই রান তাড়া করার মতো ব্যাটিং আমাদের আছে। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে পারিনি। আজকে অনেক কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝের কিছু ওভারে মাত্র ৩-৪ রান করে হয়েছে। এটার মূল্য দিতে হয়েছে।”

“মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ভালো খেলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমনটি হতেই পারে। যেটা বলেছি, অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে আমাদের।”

অধিনায়ক জানালেন, দেরাদুনের উইকেট-কন্ডিশনও ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে উন্নতির তাগিদটা জানাতে ভুললেন না।

“আমরা যে ধরনের কন্ডিশনে অভ্যস্ত, ততটা আদর্শ ছিল না কন্ডিশন। ভারতে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট থাকে। এখানে তা ছিল না। আর এই উইকেটকে কাজে লাগানোর মতো ভালো স্পিনার ওদের আছে। যাহোক, আমাদের এসব জায়গা্য়ই উন্নতি করতে হবে।”