ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কাজে লাগাবেন রোডস

ইংলিশ কাউন্টি সার্কিটে তিনি দারুণ খ্যাতিমান কোচ। উস্টারশায়ারে দারুণ সফল। কোচিং অভিজ্ঞতাও অনেক বছরের। কিন্তু জাতীয় দলের দায়িত্ব প্রথমবার। কতটা পারবেন স্টিভ রোডস? প্রশ্ন থাকলেও এই ইংলিশ কোচ সমস্যা খুব বেশি দেখছেন না। নানা সময়ে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 04:03 PM
Updated : 7 June 2018, 04:21 PM

দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন রোডস। ইংলিশ কাউন্টি উস্টারশায়ারে প্রায় ২০ বছরের খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ২০০৬ সালে এই কাউন্টির হয়েই শুরু করেন কোচিং ক্যারিয়ার। টানা দায়িত্বে ছিলেন প্রায় এক যুগ।

কাউন্টিতে সফল হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক ভিন্ন জগত। জাতীয় দলকে সামলানোও অনেক চ্যালেঞ্জিং। সংশয়ের জায়গা তাই থাকেই। আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেওয়ার সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্নটি উঠল। রোডস শোনালেন আশার কথা। মজা করে শোনালেন অভিজ্ঞতার কথাও।

“নানা সময়ে ইংল্যান্ড দলের প্রস্তুতির অংশ হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরে প্রস্তুতিতেও ছিলাম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিংয়ের স্বাদ তাই কিছুটা পেয়েছি।”

“কোচিংয়ে আসলে খুব বেশি পার্থক্য নেই, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ যদিও বেশি। ছেলেদের খেলার জন্য প্রস্তুত করা সহজ নয়। তবে আমি মনে করি আমি এখন যোগ্য। আমার চুল পাকা দেখতে পাচ্ছেন, যেটি বুঝিয়ে দিচ্ছে অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি। আশা করি আমার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য সত্যিকার অর্থেই কাজে লাগবে।” 

নিজের ক্যারিয়ারে নতুন এই অধ্যায় নিয়ে রোমাঞ্চিত রোডস নিজেও। বাংলাদেশের দায়িত্ব পাওয়াকে বলছেন বড় সম্মান।

“সব কিছুর আগে, সবাইকে বলতে চাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি প্রচণ্ড গর্বিত। দারুণ এক ক্রিকেট জাতি এটি। দুর্দান্ত সমর্থন পায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কখনও কখনও এই সমর্থন হতাশায় রূপ নিতে পারে।”

“ব্যক্তিগতভাবে এত বড় একটি দায়িত্ব পাওয়া দারুণ সম্মানের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে থাকতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার।”

আগামী ২০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করবেন বাংলাদেশের নতুন কোচ।