হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২ উইকেটে ১০৬ রান। অধিনায়ক রুট ২৯ ও নাইটওয়াচম্যান ডমিনিক বেস শূন্য রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এখনও ৬৮ রানে পিছিয়ে।
মার্ক স্টোনম্যানের জায়গায় ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে খারাপ করেননি কিটন জেনিংস। টেস্টে টানা সর্বোচ্চ ১৫৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়া কুকের সঙ্গে ১৭ ওভারে গড়েন ৫৩ রানের জুটি।
কুক ও রুটের ব্যাটে দিনের বাকি সময়টায় আর কোনো ক্ষতি ছাড়াই কাটিয়ে দেওয়ার পথে ছিল ইংল্যান্ড। শেষ সময়ে কুককে কট বিহাইন্ড করে দেন হাসান আলি। রেকর্ড গড়ার ম্যাচে ৭ চারে ৪৬ রানে ফিরেন বাঁহাতি ওপেনার কুক।
প্রথম দিন কোনো উইকেট পাননি আগের ম্যাচের সেরা দুই বোলার মোহাম্মদ আব্বাস ও মোহাম্মদ আমির।
টস জিতে শুক্রবার দুই অধিনায়কই ব্যাটিং নিতে চেয়েছিলেন। ভাগ্য ছিল সরফরাজ আহমেদের পাশে; কিন্তু টস হেরেই যেন ভালো হয়েছে রুটের।
টসের সময় ছিল রোদ, আজহার আলি ও ইমাম-উল-হক যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন আস্তে আস্তে আকাশ ঢেকে যেতে থাকে মেঘে। কন্ডিশনের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগান ব্রড-অ্যান্ডারসন। তাদের সুইং বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেনি অতিথিদের ব্যাটিং লাইন আপ।
ব্রডের বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ইমাম। আরেক ওপেনার আজহারকেও ফেরান ব্রড।
৭৯ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি ১৭৪ রান পর্যন্ত যায় লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব খানের দৃঢ়তায়। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫২ বলে ১০টি চারে করেন ৫৬ রান। দশ নম্বরে নেমে ১৬ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিরেন হাসান।
ব্রড, অ্যান্ডারসন ও ওকস নেন তিনটি করে উইকেট। অন্য উইকেটটি নেন অভিষিক্ত পেসার স্যাম কারান।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪৮.১ ওভারে ১৭৪ (আজহার ২, ইমাম ০, হারিস ২৮, সালাউদ্দিন ৪, সরফরাজ ১৪, শাদাব ৫৬, আশরাফ ০, আমির ১৩, হাসান ২৪, আব্বাস ১*; অ্যান্ডারসন ৩/৪৩, ব্রড ৩/৩৮, ওকস ৩/৫৫, কারান ১/৩৩)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৭ ওভারে ১০৬/২ (কুক ৪৬, জেনিংস ২৯, রুট ২৯*, বেস ০*; আমির ০/৩৭, আব্বাস ০/২২, হাসান ১/২৪, আশরাফ ১/১৬, শাদাব ০/৫)