লর্ডস টেস্টে যদিও এখনও ফেভারিট পাকিস্তান। তবে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে ইংল্যান্ড। শনিবার তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৩৫ রানে। প্রথম ইনিংসের ১৭৯ রানের ঘাটতি পুষিয়ে এগিয়ে গেছে ৭৯ রানে।
ইংল্যান্ডের এই লড়াইয়ের দুই নায়কের একজনের এটি ফেরার টেস্ট। আরেকজনের অভিষেক। অপরাজিত ৬৬ রানে দিন শেষ করেছেন বাটলার। অভিষিক্ত স্পিনার বেস মূল কাজে ব্যর্থ হলেও আলো ছড়িয়েছেন ব্যাটিংয়ে। অপরাজিত ৫৫ রানে। সপ্তম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছন্ন জুটি ১২৫ রানের।
লিডটা তার পরও ছিল অনেক বড়। উজ্জীবিত পাকিস্তানী বোলাররা আবারও শুরুতেই কাঁপিয়ে দেন ইংলিশ ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাট করা অ্যালেস্টার কুককে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান মোহাম্মদ আব্বাস। আরেক ওপেনার মার্ক স্টোনম্যানকে ৯ রানে বোল্ড করেন লেগ স্পিনার শাদাব।
ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে জো রুটের ব্যাটে। খুব স্বস্তিতে ব্যাট করতে না পারলেও দাভিদ মালান দিয়ে গেছেন সঙ্গ। তৃতীয় উইকেটে তাতে হয়েছে ৬০ রানের জুটি।
কিন্তু তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট নিয়ে আবারও পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণে ফেরান মোহাম্মদ আমির। ১২ রানে উইকেটের পেছনে ধরা মালান, এক বল পরই বোল্ড জনি বেয়ারস্টো।
১১০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ইনিংস ব্যবধানের হারের পথে ইংল্যান্ড। অভাবনীয় ভাবে অভিষিক্ত বেসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাটলার। পাকিস্তানকে হতাশ করে এই জুটি শুধু ইনিংস হারই এড়ায়নি, শেষ সেশন রেখেছে উইকেটশূন্য। ম্যাচ নিয়ে গেছে চতুর্থ দিনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১৮৪
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৪.৩ ওভারে ৩৬৩ (আগের দিন ৩৫০/৮)( বাবর ৬৮ (আহত অবসর), সরফরাজ ৯, শাদাব ৫২, ফাহিম ৩৭, আমির ২৪*, আব্বাস ৫; অ্যান্ডারসন ৩/৮২, ব্রড ১/৬১, উড ২/৭৪, স্টোকস ৩/৭৩, বেস ০/৫৯)।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৮ ওভারে ২৩৫/৬ (কুক ১, স্টোনমান ৯, রুট ৬৮, মালান ১২, বেয়ারস্টো ০, স্টোকস ৯, বাটলার ৬৬*, বেস ৫৫*; আমির ২/৩৫, আব্বাস ২/৩৬, ফাহিম ০/৩১, হাসান ০/৫৭, শাদাব ২/৬৩)