আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই বারবার ঘুরেফিরে আসছে রশিদ খান ও মুজিব-উর-রেহমানকে সামলানোর প্রসঙ্গ। শুধু বিপজ্জনক এই দুই স্পিনারই নন, আফগানদের পেস আক্রমণও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। ব্যাটিংয়ে আছে বিস্ফোরক সব নাম।
তবে ওয়ালশের ভাবনা জুড়ে শুধু নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা। সেরাটা খেলতে পারলে বাংলাদেশেরই সুযোগ দেখছেন কোচ।
“ওদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে। তবে আমাদের মনোযোগ নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতায়। আমরা এমন পরিকল্পনা নিয়ে নমব যেটি আমাদের সঙ্গে মানিয়ে যায়। ওদের নিয়ে দুর্ভাবনায় কাতর হব না আমরা। আমরা যদি নিজেদের সেরাটা খেলতে পারি, সুযোগ থাকবে আমাদেরই।”
“আমাদের ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে হবে। ছেলেদের খেলতে হবে নিজেদের সেরাটা। ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে আমদের, যতটা সম্ভব।”
প্রধান কোচ ঠিক করতে না পারায় শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়ালশের কোচিংয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। উঠেছিল ফাইনালে। বিসিবি প্রধান কোচ ঠিক করতে পারেনি এখনও। এবারও তাই কোচিংয়ের কাণ্ডারি ওয়ালশ। তার চাওয়া, শ্রীলঙ্কায় সেই সিরিজের মতোই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলুক বাংলাদেশ।
“আবার সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। আমাদের খুব ভালো ঘরানার ক্রিকেট খেলতে হবে, যেমনটি খেলেছিলাম শ্রীলঙ্কায়। কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। আশা করি, সফল একটি সিরিজ হবে আমাদের জন্য। আমি মনে করি, আমরা যদি আত্মতুষ্টিতে না ভুগি ও নিজেদের করণীয়তেই মন দেই, তাহলে নিজেদের সেরাটা খেলতে পারব।”
কোন জায়গাটায় উন্নতি বেশি চান, সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন ওয়ালশ। তার মূল দায়িত্ব যেটি, সেই পেস বোলিংয়েই ঘাটতি দেখছেন শিষ্যদের। আরও ধারাবাহিক দেখতে চান পেস বোলারদের।
“আমাদের বোলিং আক্রমণকে আরেকটু ধারাবাহিক দেখতে চাই আমি। বিশেষ করে পেস বোলারদের। গত দুটি সফরে ওরা যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিল না। আমি চাইব ওরা যেন একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারে।”
ভারতের দেরাদুনে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে ৩, ৫ ও ৭ জুন।