তিন সংস্করণেই খেলার আশায় শান্ত

ঘটনা চক্রে খেলা ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তেমন কোনো সুখস্মৃতি নেই নাজমুল হোসেন শান্তর। তবে সেই ম্যাচ থেকেই বুঝতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা কিভাবে খেলা উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তিন সংস্করণে জায়গা করে নেওয়ার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2018, 02:11 PM
Updated : 15 May 2018, 02:12 PM

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ড সফরে দ্বিতীয় টেস্টে হঠাৎ করেই অভিষেক হয়ে যায় শান্তর। প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে নেমে করেন ১৮, পরের ইনিংসে পাঁচে নেমে ১২।
 
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফিটনেস অনুশীলনের পর শান্ত জানান, সেই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফল্য মিলেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। 
 
“সেই টেস্টটা খেলার পর অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। টেস্ট কিভাবে খেলা উচিত, তা বুঝেছি এবং ঘরোয়া পর্যায়ে সেভাবেই খেলার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, সামনে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারব।”
 
রানের চূড়ায় থেকে ২০১৬ সালে যুব ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ করেন শান্ত। পরের বছরই হয়ে যায় আন্তর্জাতিক অভিষেক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ আসরে ৭৪৯ করে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। 
 
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিন সংস্করণে জায়গা না পাওয়ার কোনো কারণ দেখেন না ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।    
 

“যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলাম, তখন হয়তো স্ট্রাইক রেট অতো ভালো ছিল না। যখন বুঝতে পারলাম যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হলে স্ট্রাইক রেট খুব ভালো রাখতে হবে। ওইভাবেই প্রিমিয়ার লিগ ও অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলছি।” 
“আমি বিশ্বাস করি, তিন সংস্করণেই খেলার যোগ্যতা রাখি। আর সেই উদ্দেশ্যেই অনুশীলন করে যাচ্ছি।”
ক্রাইস্টচার্চে মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে খেলেন শান্ত। জাতীয় দলেও টপ অর্ডারেই তার নজর।
“উপরের দিকে তামিম (ইকবাল) ভাইয়ের সঙ্গে এখনো কেউ ঠিকভাবে থিতু হয়নি। আমি বলছি না যে, আমি সেখানেই জায়গা করে নিব। আমার লক্ষ্য হল নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। যে কোনো টুর্নামেন্টে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টাই করি।” 
যুব ওয়ানডেতে বোলিংয়েও বেশ সফল ছিলেন শান্ত। অফ স্পিনটা এখন আর সেভাবে করতে দেখা যায় না তাকে। ভাবতে চান কেবল ব্যাটিং নিয়েই।   “প্রথম থেকে ব্যাটিংয়েই বেশি মনোযোগ দিই। বোলিংয়ে যখন সুযোগ পাই, তখন করি। তবে বোলিংয়ে বেশি মনোযোগ দিই না।”
হঠাৎ পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ আছে শান্তর। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে ঝালাই করে নিয়ে উন্মুখ হয়ে আছেন আরেকটি সুযোগের জন্য।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজে যদি যাই, তাহলে অবশ্যই পারফর্ম করার চেষ্টা করব। এতে জাতীয় দলে আমার জায়গা নিশ্চিত হবে। দলে সুযোগ পেলে অবশ্যই জায়গা ধরে রাখতে চাইব। সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”