দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন আরিফুল। অভিষেকে সাতে নেমে অপরাজিত ছিলেন ১ রানে। পরেরটিতে ছয়ে নেমে করেছেন ২। এরপর শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের দলে থাকলেও সুযোগ পাননি খেলার।
এই অলরাউন্ডার আছেন আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের প্রাথমিক দলেও। চোট না বাধালে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার থাকাটা একরকম নিশ্চিতই। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ঘাটতি পূরণে আপাতত দলের বাজি আরিফুলই।
যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও নিজের অলরাউন্ডার পরিচয়টা দেখানোর সুযোগ পাননি আরিফুল। সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, মুখিয়ে আছেন সুযোগের অপেক্ষায়।
“আমার লক্ষ্য হলো জাতীয় দলে থিতু হওয়া। কারণ আমি এখনো থিতু না। আমার যেটা ভূমিকা, সেটা চেষ্টা করব পালনের। হয়তো পরিস্থিতি নির্ভর করবে কোথায় ব্যাট করব, কিভাবে ব্যাট করব। সব সামলেই আসলে আমাকে জাতীয় দলে অলরাউন্ডার হিসেবে পাকাপোক্ত হতে হবে।”
“ঘরোয়াতে বোলিং করি, জাতীয় দলে সে সুযোগ এখনো হয়নি। বিপিএলেও ওইভাবে সুযোগ হয়নি। যদি সুযোগ পাই, আমার আগের সব অভিজ্ঞতা দিয়ে চেষ্টা করব।”
শুধু পেস বোলিং অলরাউন্ডারই নয়, ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টিতে শেষের দিকে ঝড় তোলার মতো একজন ব্যাটসম্যানের যে ঘাটতি, সেটি পূরণেও বাংলাদেশ দল তাকিয়ে আরিফুলের দিকে। ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের সামর্থ্যও আছে বড় শট খেলার। তবে শুধু আগ্রাসনই শেষ কথা নয় আরিফুলের কাছে।
“আমি যখন ব্যাট করতে নামি, শুরুতে চিন্তা করি এক-দুই নিয়ে খেলার। ভাবনা থাকে, বাজে বল পেলে মারব। ডট বলব করব না, স্ট্রাইক বদলাব নিয়মিত। বড় শট আমি চিন্তা করি শেষ দিকে খেলার। চেষ্টা করি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার। শেষের দিকে নিয়ে গেলে, আমি জানি যে দুই-তিন ওভার মেরে খেলতে পারব। চেষ্টা করি মানসিকতা এভাবে রাখার।”
এই অলরাউন্ডার আপাতত ভাবছেন সামনের আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে। তাদের দুই স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রেহমান হতে পারেন বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি। আরিফুল চেষ্টা করছেন আইপিএল দেখে তাদের বোলিংয়ের ধরন কিছুটা বুঝতে।
“আমাদের বিপক্ষে যারা যারা বোলিং করবে, আইপিএলে তাদের খেলা দেখছি। আফগানিস্তানের মুজিব আছে, ওকে আমরা ওইভাবে দেখিনি। রশিদ খানকে বিপিএলে দেখেছি। সব মিলিয়ে ওদের কিভাবে খেলা যায়, তা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”