প্লেয়ার্স বাই চয়েজে লিগের দল গঠন হওয়ায় কমেছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। দল বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও হারিয়েছেন ক্রিকেটাররা। বলা হয়েছিল, এই প্রক্রিয়ায় পারিশ্রমিক পেতে ক্রিকেটারদের হয়রানি কমবে। কিন্তু দেখা গেছে সেই একই চিত্র। ক্লাব পারিশ্রমিক পরিশোধ না করায় বোর্ডের দুয়ারে আসতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।
১৩ ম্যাচে মাত্র দুটি জয় পাওয়া কলাবাগান নেমে গেছে প্রথম বিভাগে। বাজে পারফরম্যান্সের জন্য দলটি ক্রিকেটারদের ৪০ শতাংশ পরিশ্রমিক কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ জানান, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে টাকা কর্তনের ব্যাপারে কোনো কথাই হয়নি।
“বলা হচ্ছে, সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ টাকা নাকি কেটে রাখবে। আমরা যখন ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা বলেছে, ‘তোমরা তো টাকা বেশি পাবা না। ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ টাকা কর্তন করা হয়েছে। এর বাইরে যতটুকু বাকি থাকে সেটা পাবা’। কিন্তু এটা তো হতে পারে না।”
“লিগ শুরুর আগে তো পারফরম্যান্সের জন্য টাকা কেটে রাখা নিয়ে কোনো কথা হয়নি। এমন কোনো নিয়মও নেই।”
কলাবাগানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান তাসামুল হক জানান, মোহাম্মদ আশরাফুল, সঞ্জিত সাহা, জসিম উদ্দিন ও আবু বকর ক্লাব থেকে কোনো টাকাই পাননি।
“ক্লাব থেকে বলা হয়েছিল খেলা শেষ হলে পারিশ্রমিক পরিশোধ করবে। এখানে টাকা কেটে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই।...ক্লাব প্রত্যাখ্যান করলে আমরা লিখিতভাবে বিসিবিকে জানাই।”
“ক্লাব এখন বলেছে, ‘তোমরা লিখিত দেওয়ার পরে ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হবে না। এখন বিসিবিই তোমাদের পারিশ্রমিক প্রদান করবে’। ক্লাব বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে। বিসিবি সেটা গ্রহণ করেছে, এরপর জানাবে পদক্ষেপ।”
কলাবাগানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার পর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন জানান, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট পদ্ধতিতে আরও ভালো করতে কাজ করছেন তারা।
“এখন পর্যন্ত আমরা একটা ক্লাবের ব্যাপারেই অভিযোগ পেয়েছি এবং এটা নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।... প্লেয়াররা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে যে ক্লাবগুলো বোর্ডের সঙ্গে কাজ করে, তারাও গুরুত্বপূর্ণ। যে অভিযোগ এসেছে, তা সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সাথে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব।”
“নির্ধারিত সময়ে পেমেন্ট করা হয়নি বলেই অভিযোগ এসেছে। ক্লাবের নীতিনির্ধারক যারা আছেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব।”