বৃষ্টির বাগড়ায় প্রথম দিন খেলাই হতে পারেনি। আলোকস্বল্পতা ও বৃষ্টির বাধায় আগেভাগেই শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। শনিবারের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬৮ রান। শাদাব ৫২ ও ফাহিম ৬১ রানে অপরাজিত।
ম্যালাহাইডের দ্য ভিলেজে শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং নেন আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। চার বছর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে একটি টেস্ট খেলা র্যাঙ্কিন ছাড়া এই সংস্করণে অভিষেক হয় স্বাগতিকদের দশ খেলোয়াড়ের।
পাকিস্তানের দুই অভিষিক্ত ইমাম-উল-হক ও ফাহিমের দিন কেটেছে দুই রকম। মারটাঘের করা দিনের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে মাথায় চোট পান নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ইমাম। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর উঠে দাঁড়ান এই তরুণ।
লম্বা সময় কাভারে ঢাকা উইকেট থেকে শুরুতে দারুণ সহায়তা পেয়েছেন নতুন বলের দুই বোলার মারটাঘ ও র্যাঙ্কিন। তারা ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে।
বাজে এক শটে ফিরে যান হারিস সোহেল। এবার স্টুয়ার্ট টমসনের বলে গালিতে চমৎকার ক্যাচ নেন আইরিশ অধিনায়ক। হারিসের বিদায়ে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি।
তিন চারে ১৪ রান করা বাবর আজম ধরা পড়েন দ্বিতীয় স্লিপে। মারটাঘের বলে ক্যাচ নেন পল স্টার্লিং। স্কোর বোর্ডে তখন সবে তিন অঙ্কে গেছে পাকিস্তানের সংগ্রহ।
অসংখ্যবার একটুর জন্য শফিকের ব্যাটের কানা নেয়নি বল। কিছু বলে টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। কখনও ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে পেয়েছেন বাউন্ডারি।
অফ স্টাম্পের বাইরে বারবার ভোগা শফিক থেমেছেন শর্ট বলে। র্যাঙ্কিনকে উড়ানোর চেষ্টায় অ্যান্ডি বালবার্নিকে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ১২১ বলে ৬২ রান করা শফিকের ইনিংসে ৮টি চার।
গত বছর একটি টেস্ট খেলা লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার শাদাব তুলে নেন নিজের প্রথম ফিফটি। শুরু থেকে স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হন অভিষিক্ত ফাহিম। ৬৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৬১ রানে ঝড়ো ইনিংস। দুই অলরাউন্ডার অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে গড়েন ১০৯ রানের জুটি।
৪ ওভার পরই দ্বিতীয় নতুন বল পাবে আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় দিন শাদাব-ফাহিমের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
তিন পেসার মারটাঘ, টমসন ও র্যাঙ্কিন নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৭৬ ওভারে ২৬৮/৬ (আজহার ৪, ইমাম ৭, হারিস ৩১, শফিক ৬২, বাবর ১৪, সরফরাজ ২০, শাদাব ৫২*, ফাহিম ৬১*; মারটাঘ ২/৩৩, র্যাঙ্কিন ২/৫৮, কেন ০/৮৪, টমসন ২/৫১, কেভিন ০/২০, স্টার্লিং ০/১১)