নতুন প্রতিভার সন্ধানে বিসিবির অ্যাকাডেমি কাপ

নতুন ক্রিকেট প্রতিভার সন্ধানে নেমেছে বিসিবির ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগ। ঢাকার ৩২টি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে নক আউট ভিত্তিক টুর্নামেন্ট বিসিবি অ্যাকাডেমি কাপ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2018, 11:59 AM
Updated : 7 May 2018, 12:14 PM

আগামী ২০ মে থেকে ৫ জুন হতে পারে ৪০ ওভারের এই টুর্নামেন্ট। আপাতত ভেন্যু হিসেবে আছে বিকেএসপি, সিটি ক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ। ভেন্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রথম রাউন্ড, দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে হবে মোট ৩১ ম্যাচ। টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ক্রিকেটাররা। তবে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) নিবন্ধিত এবং ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগের কোনো ক্রিকেটার এতে অংশ নিতে পারবেন না। জাতীয় বয়স ভিত্তিক দলগুলোর কোনো ক্রিকেটারও এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না।

ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ৩ হাজার টাকা। সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলার পাবেন ১০ হাজার টাকা করে। সিরিজ সেরার পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা।

জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির অধীনে বাছাই করা ১৫-২০ ক্রিকেটারকে ৫ সপ্তাহের মতো একটি অনুশীলন ক্যাম্পে রাখা হবে। সেমি-ফাইনালের চার দলের অনুশীলন সুবিধা উন্নয়নে সহায়তা করবে বিসিবি।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পেছনে নিজেদের ভাবনার কথা জানান বিসিবির ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগের প্রধান খালেদ মাহমুদ।

“এবার পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আয়োজন করবো। ঢাকায় এখন প্রচুর অ্যাকাডেমি আছে। তবে যাদের অনুশীলনের সঠিক সুবিধা আছে, পেশাদারিত্ব আছে, লেভেল ১ বা ২ কোচ আছে তাদের এবার টুর্নামেন্টে সুযোগ দিয়েছি।”

তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতে বিসিবির এই উদ্যোগ। এই সুযোগে লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান কোনো বোলার পাওয়া যায় কী না সেই দিকে নজর থাকবে মাহমুদদের।

“একেবারে আনকোরা খেলোয়াড়রা এখানে খেলার সুযোগ। অ্যাকাডেমিগুলোতে অনুশীলনের সুযোগ থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ-সুবিধা নেই। এর মাধ্যমে ছেলেরা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে। ওখানে আমাদের নির্বাচকরা কিংবা ক্রীড়া উন্নয়ন বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন। তাদের কাজ হবে ১৫-২০ জন কিংবা আরও বেশি তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করা।”

“এখানে একেবারে আনকোরা ছেলেরা খেলার সুযোগ পাবে। ... যতো বেশি প্রতিভা আসবে আমাদের ততোই লাভ। আমরা অনেকদিন ধরেই লেগ স্পিনার খুঁজছি। বিশ্বের সব দেশেই ভালো একজন লেগ স্পিনার আছে কিন্তু আমাদের দেশে নেই। কোনো লেগ স্পিনার পাওয়া যায় কী না, কোনো চায়নাম্যান বোলার পাওয়া যায় কী না তার লক্ষ্য থাকবে আমাদের।”

ক্রিকেট অ্যাকাডেমিগুলো  যেন ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত না হয় তার চেষ্টা থাকবে মাহমুদের। সাবেক এই অধিনায়ক জানান, ভবিষ্যতে প্রতিটি বিভাগ থেকে একটি-দুটি করে অ্যাকাডেমি দলকেও আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা আছে তাদের।

“পুরো দেশে আমরা ছেলেদের মধ্যে একটা আগ্রহ তৈরি করতে চাই। ... ক্রিকেট অ্যাকাডেমিগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত না হয়ে যেন ক্রিকেটটার তৈরির কারখানা হতে পারে তার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।”

আগামী শনিবার মিরপুরে হতে পারে টুর্নামেন্টের ড্র।