বোলিং ঠিক রাখতে খেপ খেলে বেড়াচ্ছি: জুবায়ের

অনেক আশা জাগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব জুবায়ের হোসেনের। সেই আশা পরে হতাশায় রূপ নেওয়ার পেছনে তরুণ এই লেগ স্পিনারের নিজের দায় আছে কিছু। তবে তাকে সামলানোয় সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাও চোখে পড়ার মতো। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে তরুণ লেগ স্পিনার পাননি একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ। মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনুশীলনের ফাঁকে নিজের বোলিং এবং আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ভাবনার কথা জানালেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2018, 07:37 AM
Updated : 2 May 2018, 07:37 AM

সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে একটাও ম্যাচ খেলার সুযোগ হল না। কেবল আপনিই নন, গত মৌসুমে কোনো বিশেষজ্ঞ লেগ স্পিনারই পায়নি কোনো ম্যাচ। লেগ স্পিনকে বেছে নেওয়ায় এখন কী একটু আক্ষেপ হচ্ছে?

জুবায়ের: ছোট থেকেই আমার লেগ স্পিনটা ভালো করতাম। নেটে যখন বিভিন্ন ধরনের বোলিং করতাম তখন লেগ স্পিনটাই সবচেয়ে ভালো হত। তবে শুরুতে আমি ব্যাটসম্যান ছিলাম। একদিন আমার ভাই বললো, ‘বাংলাদেশে তো ব্যাটসম্যান অনেক, তুই লেগ স্পিনারই হওয়ারই চেষ্টা কর। বাংলাদেশের তো লেগ স্পিনার খুব কম।’ তারপর ভাইয়ের কথায় লেগ স্পিন শুরু করলাম। সেখান থেকেই আমার লেগ স্পিনের যাত্রা শুরু।

প্রথমে অনূর্ধ্ব-১৪ পর্যায়ে খেললাম। সেখানে প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট পেলাম। এরপর থেকে আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগোতে থাকলাম। অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৯, হাই পারফরম্যান্স দল, বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলার সুযোগ পাই। আক্ষেপের কথা বললেন না? নাহ, কোনো অক্ষেপ নেই।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে চার টুর্নামেন্ট মিলিয়ে বছরে একজন ক্রিকেটারের ৩৫ থেকে ৪৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে। চোট সমস্যা না থাকার পরও আপনার কোনো ম্যাচ না পাওয়ার পিছনে কারণ কী হতে পারে?

জুবায়ের হোসেন: দলে থেকে ম্যাচের পর ম্যাচ একাদশের বাইরে বসে থাকা খুব কষ্টদায়ক। এটা আরও বেড়ে যায় যখন সবাই জানতে চায়, ‘তোকে খেলায় না কেন?’ অনেকেই ব্যাপারটা বুঝতে পারে। আবার কেউ কেউ বুঝেও না বোঝার ভান করে। আমি যে কয়টা ম্যাচ এর মধ্যে খেলেছি, সেগুলোতে কিন্তু খারাপ করিনি। সুযোগ যখন পেয়েছি তখন কিন্তু বাদ পড়ার মতো পারফরম্যান্স করিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে যে নিয়মিত হতে পারছি না, এর পেছনে হয়তো আমারও কোনো ঘাটতি আছে। আমার দিক থেকে হয়তো কোনো ভুল-ত্রুটি আছে। তবে এখন নিয়মিত অনুশীলন করছি। যদি সুযোগ আসে তো আমি তৈরি, এবার সুযোগ কাজে লাগাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আর লিস্ট ‘এ’ অভিষেক বাংলাদেশ ‘এ’ দল দিয়ে। জাতীয় দলের হয়ে খেলা একটি টি-টোয়েন্টি এখন পর্যন্ত এই সংস্করণে একমাত্র ম্যাচ। খুব কম অভিজ্ঞতা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিযানটা কেমন ছিল?   

জুবায়ের হোসেন: জাতীয় দলে খেলার আগে কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার খুব একটা সুযোগ হয়নি আমার। ‘এ’ দল থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসি। ঘরোয়া ক্রিকেটে হয়তো খুব একটা খেলার সুযোগ পাইনি কিন্তু জাতীয় দলে যতদিন খেলেছি আমি কিন্তু খারাপ করিনি। যেখানেই খেলেছি, উইকেট পেয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা এক জন লেগ স্পিনারের যা দায়িত্ব, দলের প্রয়োজনের সময়ে উইকেট এনে দেওয়া- তা করতে পেরেছি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন খেলেছি তখনও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাইনি, এখনও পাচ্ছি না। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য সবচেয়ে নেতিবাচক ব্যাপার। যদি আমি নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পেতাম তাহলে আমার জন্য খুব ভালো হত।

ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা কতটা কঠিন ছিল? এখন ঘরোয়া ক্রিকেটেও নেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নেই। নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখাটা কতটা কঠিন?

জুবায়ের হোসেন: আমি যখন জাতীয় দলে খেলেছি তখন কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলিনি। তবুও যে তখন আমি ভালো করেছি তার কারণ, সবার সমর্থন ছিল। সবাই খুব সাহায্য করেছে। ইতিবাচক কথা বলেছে, উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছে।

এখন জাতীয় দলেও নেই, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিও না। এখন মনে ওপর তো চাপ পড়ছেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে না পারলেও এর মধ্যে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের হয়ে দুটি সফর করেছি। ‘এ’ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি।

আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে আগের মৌসুমেও খুব একটা সুযোগ পাইনি। তারপরও নির্বাচকরা, টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু আমাকে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট, ‘এ’ দলে সুযোগ দিয়েছেন। অনেকে কিন্তু ভালো করেও সুযোগ পায়নি। আমি খুব কম খেলার পরও তারা আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছেন। এই যে এভাবে আমাকে তারা সুযোগ দিলেন, তার প্রতিদান আমি দিতে চাই। এখন শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন আমি অনুশীলন করছি। ব্যাটিং, ফিল্ডিং, জিম, কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছি না। আজকে না হোক কালকে, নয়তো পরশু সুযোগ আসবেই। তখন যেন পিছিয়ে যেতে না হয়, তার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি।

তিন সিরিজে ৬ টেস্টে ৩০.৮১ গড়ে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। বাদ পড়াটা নিশ্চয়ই অপ্রত্যাশিত ছিল?

জুবায়ের হোসেন: হয়তো আমার কোনো ঘাটতি ছিল, যার কারণে আমি জাতীয় দলে থাকতে পারিনি। এবার সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি, যেন আমার কোনো ঘাটতি না থাকে। যেন কেউ কোনো ভুলের কথা বলতে না পারে, সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। নিজেকে পরিপূর্ণ লেগ স্পিনার গড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

যে সিরিজে বাদ পড়লেন তার আগের সিরিজেই ভারতের বিপক্ষে আপনার বোলিং দেখে প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি আপনার মাঝে দেখেন টেস্টে চারশ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য।

জুবায়ের হোসেন: সাকিব ভাই বিশ্ব ক্রিকেটের সেরাদের একজন। তিনি আমাদের জন্য একজন কিংবদন্তি। তিনি তো অবশ্যই ক্রিকেট খুব ভালো বুঝেন। লেগ স্পিন সম্পর্কেও তার ধারণা আছে। হয়তো তিনি আমার মধ্যে তেমন কিছু দেখেছেন বলেই ওই কথা বলেছেন। আমারও বিশ্বাস, যদি আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়, আমি যদি নিয়মিত খেলতে থাকি তাহলে দেশের জন্য ভালো কিছু করবো। আমি বিশ্বাস করি, সেই সামর্থ্য আমার মাঝে ভালোভাবেই আছে।

কোচ হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে একা অনুশীলন করছেন। বিশেষ কী করছেন?

জুবায়ের হোসেন: কোচ শাহিন ভাই (হুমায়ুন) আমার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি যেভাবে বলছেন, আমি সেভাবেই কাজ করছি। স্পট বোলিং বেশি করছি। আগে আমি এটা বেশি করতাম না। রানিং করছি, ফিল্ডিং- সবই মোটামুটি করছি। আগে তো দেখার মতো কেউ ছিল না। এখন শাহিন ভাই আছে। (বিসিবি কোচ) ওয়াহিদুল গণি স্যারের সঙ্গে কথা হয়। শাহিন ভাই অনুশীলন করান নিয়মিত। বিনা স্বার্থে তিনি অনেক শ্রম দিচ্ছেন। তার জন্য আমি তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার, মিনহাজুল আবেদীন স্যারের সঙ্গে কথা হয়। সবাই যে যার মতো সহায়তা করছেন। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, কী করলে আরও ভালো হবে।

কিছু দিন আগে বিসিবি আয়োজিত বিশেষ একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললাম। সেই ম্যাচে আমার দলের অধিনায়ক (মাহমদুউল্লাহ) রিয়াদ ভাই আমাকে ভালো ভালো কিছু কথা বলেছেন। যেগুলো আমি মনে করি, আমার জন্য খুব ভালো কাজে দিচ্ছে।

মানুষের কথাটা কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে খেলার সময়ে এটা অনেক বড় প্রভাব ফেলে। কেউ যদি আমাকে বলে, ‘তুই শর্ট বল করিস না, ফুলটস বল দিস না।’ ওই জিনিসটা আমার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে। তখন দেখা যায় যতই চেষ্টা করি না কেন, একটা না একটা বল শর্ট বা ফুলটস হয়ে যায়। নেতিবাচক কথা না বলে যদি বলে, ‘তুই ভালো কর। ভালো করলেও তুই থাকবি, খারাপ করলেও তোকে আমরা সামনে সুযোগ দিব। তুই ভালো করার চেষ্টা কর।’ এই জিনিসটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু। সত্যি বলতে কী, এই জিনিসটা আমি খুব কমই পাই। কেউ কেউ সহায়তা করে, কেউ কেউ হয়তো করে না। এসব মেনে নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া উপায় নেই।

লেগ স্পিনারের জীবন তো এমনই, এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগোতে হয়!

জুবায়ের হোসেন: হুম, এটাই লেগ স্পিনারের জীবন। এটা আমি মেনে নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে বরাবরই সুযোগ দিয়েছেন। সামনে ‘এ’ দলের ক্যাম্প আছে। সুযোগ যদি আবার আসে চেষ্টা থাকবে কাজে লাগানোর। ঘরোয়া ক্রিকেটে কী করে নিয়মিত হওয়া যায়, কী করে সেখানে সফল হওয়া যা তার চেষ্টা করছি আমি। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করতে পরিশ্রম করছি।

আপনি জানেন, এখন আমি নিজের বোলিং ঠিক রাখতে কী করছি? খেপ খেলে বেড়াচ্ছি। কারণ, আমি জানি যত বেশি খেলব তত বেশি শিখব। আমি যদি ম্যাচই কম খেলি তাহলে শিখব কী করে? যদি নিয়মিত অনেক ম্যাচ খেলি তাহলে আমি বুঝতে পারব, আমার কী ভুল হচ্ছে। যেহেতু আমি খেলার সুযোগ কম পাচ্ছি তাই বিভিন্ন জেলার লিগে খেলছি। সেখানে খেলার সুফলও টের পাচ্ছি।

গত বিপিএলে কিছু দিন রংপুর রাইডার্সের নেটে বোলিং করেছেন। ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের বিপক্ষে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে লেগেছে?

জুবায়ের হোসেন: সেই সময়ে আমাকে অনুশীলনে ডেকেছিলেন মাশরাফি (বিন মুর্তজা) ভাই। তার ডাকে আমি নেটে বোলিং করতে আসি। সে সময় সেখানে মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন কোচ টম মুডি, ম্যাককালাম। আমার বোলিং খেলার পর ম্যাককালাম তো এসে জানতে চেয়েছিলেন, ‘এবারের বিপিএলে আমি কয় উইকেট পেয়েছি।’ তার কথা শুনে আমি হাসলাম। তারপর বললাম, ‘আমি তো এবারের বিপিএলে কোনো দলে নাই।’ আমার উত্তর শুনে খুব অবাক হয়েছিলেন তিনি। তারপর মুডির সঙ্গে আমার ব্যাপার কথা বলেন। মুডি এসে আমাকে বললেন, ‘তুমি যদি গ্রিপ এমন কর তাহলে আরও ভালো হবে। তুমি তো এই টুর্নামেন্টে খেলার মতো ক্রিকেটার। তোমাকে সুযোগ দেয় না কেন?’

মুডি হয়তো মাশরাফি ভাইকে কিছু বলেছিলেন। অনুশীলনের পর মাশরাফি ভাই আমার কাছে এসে কিছু কথা বলেছিলেন। সেগুলো আমি জীবনেও ভুলবো না। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তুই হয়তো আজকে সুযোগ পাচ্ছিস না কিন্তু হাল ছাড়িস না। তোর ক্যারিয়ার এখনও ১৫ বছর আছে। তুই এখন অনুশীলন কর। সুযোগ না আসুক তুই আগামী ৫ বছর শুধু অনুশীলন কর। পরে হলেও তোর সুযোগ আসবেই। সে সময় যেন কাজে লাগাতে পারিস, তার জন্য নিজেকে তৈরি করে রাখ। হাল ছাড়বি না।’ মাশরাফি ভাইয়ের এই কথা আমার খুব ভালো লেগেছে। উনি খুব ভালো কথা বলেছেন। সত্যিই তো আজকে সুযোগ না আসুক কাল তো আসতেই পারে, তৈরি থাকলে তখন সেটা কাজে লাগানো যাবে।

ইংল্যান্ডে আগামী বিশ্বকাপের ভালো করতে একজন লেগ স্পিনার চায় বাংলাদেশ। লেগ স্পিনারের জন্য দলের এই অপেক্ষা নিশ্চয়ই বাড়তি পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে আপনাকে?

জুবায়ের হোসেন: বাংলাদেশের ক্রিকেটের দিকে তাকান, দেখবেন ব্যাটসম্যান, পেসার, ফিঙ্গার স্পিনার, উইকেটকিপার সবার অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী। লেগ স্পিনার কিন্তু খুব বেশি নাই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এটা দুর্ভাগ্য। তবে আমার জন্য কিন্তু বড় একটা সুযোগ। আমি একটু ভালো করতে পারলেই কিন্তু আবার লাইম লাইটে চলে আসবো। তবে জাতীয় দলে খেলতে হলে অবশ্যই আমাকে ভালো কিছু করতে হবে। যদি ভালো না করি তাহলে কিন্তু আর কোনো লেগ স্পিনার না থাকলেও আমাকে নেবে না।

সত্যি কথা বলতে কী, আগে পরিশ্রম একটু কম করতাম। এখন সত্যি সত্যি খুব পরিশ্রম করছি। রানিং, জিম কিছুই বাদ দিচ্ছি না। বোলিংও ভালো হচ্ছে। গতি বেড়েছে, ভালো জায়গায় বেশি বল করতে পারছি। গুগলি তো আগেই ভালো করতাম। এখন স্টক ডেলিভারিটাও খুব ভালো হচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, এখন সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারব।

আমি যখন টেস্ট খেলতাম তখন আমাদের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম ভাই। তিনি আমাকে মিরপুরে একটা ম্যাচের পর বলেছিলেন, ‘আমাদের জন্য একটা ব্রেক থ্রু দরকার ছিল, তুই বোলিংয়ে এসে সেটা দিয়েছিস। এটাই লেগ স্পিনারের কাজ। তুই এটা ধরে রাখিস।’ আমি রান হয়তো একটু বেশি দিয়েছি কিন্তু উইকেট আমি সব জায়গাতেই পেয়েছি। লেগ স্পিনারের মূল কাজ কিন্তু উইকেট নেওয়া। আর উইকেট নেওয়ার গুণটা আমার আছে। যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারি তাহলে আমি জাতীয় দলেও দ্রুত ফিরতে পারব।