বিশ্বকাপের ফরম্যাট নিয়ে রোমাঞ্চিত তামিম

অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৯৯২ সালের ফরম্যাটে ফিরেছে বিশ্বকাপ। সব দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ থাকায় খুশি তামিম ইকবাল। তবে বাঁহাতি এই ওপেনার মনে করছেন, নক আউটের পথ কঠিন হবে এবার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2018, 01:49 PM
Updated : 28 April 2018, 01:49 PM

২০১৫ আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার কোয়ার্টার-ফাইনালই নেই। প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে সেরা চার দল খেলবে সেমি-ফাইনালে। তামিম মনে করেন, টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে সেই চ্যালেঞ্জ জয় সম্ভব।

“ব্যক্তিগতভাবে খুবই রোমাঞ্চিত। একটা টুর্নামেন্টে সবার সঙ্গে খেলা, এই সুযোগ আমরা পাব। এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তাদের ভালো খেলতে হবে।”

“ফরম্যাটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ। গ্রুপ থাকলে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলেও হয়তো কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো কোয়ালিফাই করতে ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে। লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য।”

বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও এক বছরের বেশি সময় বাকি। এর মাঝে নিজেদের যে ম্যাচগুলো আছে সেগুলো কাজে লাগিয়ে নিজেদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা জরুরি মনে করেন তামিম।

“এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।”

“এক বছরের পরের চিন্তা এখন না করাই ভালো। তার আগে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে। এগুলোয় মনোযোগী থাকা ভালো। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে যাব ভালো করব- এটা সবাই চাই। এখনই বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

চন্দিকা হাথুরুসিংহে সরে যাওয়ার পর থেকে এখনও কোনো প্রধান কোচ পায়নি বাংলাদেশ। তামিম মনে করেন, যথার্থ কোচ পেলে এখনও যে সময় আছে তাতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে কোনো সমস্যা হবে না।

“আমার কাছে যেটা ভালো লাগছে, বিসিবি কোচ নিয়োগে তাড়াহুড়ো করছে না। চাইলে হুট করে একজন নিয়েও আসতে পারত। যথার্থ কোচকে খুঁজতে সময় নিচ্ছে, এটা ভালো দিক। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।”

“আর খেলোয়াড়দের কথা যদি বলেন, এই ১৯/২০ খেলোয়াড়ের মধ্য থেকেই হয়তো খেলবে। একটু পরিবর্তন হয়তো হবে। খেলোয়াড়েরা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত। তারা জানে যে, ভিন্ন কন্ডিশনে বিশ্বকাপ খেলতে হবে। এখন যে কোচিং স্টাফ আছেন তারা সেভাবেই এগোচ্ছেন। বিদেশের মাটিতে কিভাবে আরও ভালো খেলতে পারি, সেভাবেই এগোচ্ছি।”