শেষ দিনে সাইফ উদ্দিনের সেঞ্চুরি

ম্যাচের ফল এক রকম স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বেশ আগেই। শেষ দিনটি ছিল কেবল নিয়ম রক্ষার। তাতে ব্যক্তিগত চাওয়া পূরণের পালায় হেসেছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তরুণ অলরাউন্ডার করেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পারেননি অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2018, 11:57 AM
Updated : 27 April 2018, 12:41 PM

ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় খুব একটা জাগেনি। বিসিএলের শেষ রাউন্ডের শেষ ম্যাচে রাজশাহীতে ড্র হয়েছে মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল লড়াই। এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো এবারের বাংলাদেশের ঘরোয়া মৌসুম।

আগের দিন লিটন দাসের ২৭৪ ও আফিফ হোসেনের ১৪২ রানের পর শেষ দিনে সাইফ উদ্দিনে সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৭১১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে শুক্রবার ৫ উইকেটে ১৯৬ রান তোলার পর ড্র হয় ম্যাচ।

৬ উইকেটে ৫৯২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল পূর্বাঞ্চল। ৩২ রানে শুরু করা জাকের আলি আর ৭ রান যোগ করেই বোল্ড হন আবু হায়দার রনির বলে। এই বাঁহাতি পেসার পরে ফিরিয়ে দেন সোহাগ গাজীকেও।

তবে ২৯ রানে শুরু করা সাইফ উদ্দিন ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান ঠাণ্ডা মাথায়। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ এনামুল হক জুনিয়র। দুজনের ব্যাটে দলের রান পেরিয়ে যায় সাতশ।

পূর্বাঞ্চল অপেক্ষা করছিল সাইফের সেঞ্চুরির। ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত প্রথম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৭৪ বলে। এনামুল জুনিয়রের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন অষ্টম জুটিতে যোগ করেন ৭৫ রান।

সাইফের সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে পূর্বাঞ্চল। চলতি মৌসুমে এটি ছিল দ্বিতীয় সাতশ রানের স্কোর। জানুয়ারিতে খুলনায় এই মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে পূর্বাঞ্চলই করেছিল ৬ উইকেটে ৭৩৫।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডার ওলট-পালট করে মধ্যাঞ্চল। নিয়মিত দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান নয়, ইনিংস শুরু করেন আব্দুল মজিদ ও ইলিয়াস সানি।

দুইজনের কেউ অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মজিদ এবার রানই করতে পারেননি। সানি ফিরেছেন চার রানে। চারে নেমে রান করতে পানি মেহরাব হোসেন জুনিয়রও।

মধ্যাঞ্চল ৩০ রানে ৩ উইকেট হারালে খানিকটা নাটকীয়তার আভাস মেলে ম্যাচে। তবে সে সবকে পাত্তাই দেননি মার্শাল ও শুভাগত হোম। দুজন রান তুলতে থাকেন ঝড়ের বেগে।

প্রথম ২০ বলে ১০ চারে মার্শালের রান ছিল ৪০! হাফসেঞ্চুরি করেন পরে ৩৭ বলে। শুভাগতর পঞ্চাশ আসে ৪০ বলে।

দুজনের কেউই অবশ্য তিন অঙ্কে যেতে পারেননি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ বলে ৬৪ করে আউট হন শুভাগত। ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে ৮৫ করে মার্শাল ফিরেছেন আবু জায়েদের বলে।

ড্রয়ের পর ৫২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে বিসিএল শেষ করল পূর্বাঞ্চল। ৫১ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলকে ইনিংসে হারিয়ে আগের দিনই নাটকীয়ভাবে শিরোপা নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণাঞ্চল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫৪৬

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৭১ ওভারে ৭১১/৮ (ডি.) (আগের দিন ৫৯২/৬)(জাকের ৩৯, সাইফ উদ্দিন ১০০*, সোহাগ ১৪, এনামুল জুনিয়র ২৬*; শরিফ ০/৭৫, আবু হায়দার ২/৯১, মোশাররফ ১/৮৫, শুভাগত ৩/২০৬, সানি ২/১৭৩, সাইফ ০/৩৫, মজিদ ০/২৯)।

মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৩৮ ওভারে ১৯৬/৫ (মজিদ ০, ইলিয়াস সানি ৬, মার্শাল ৮৫, মেহরাব ০, শুভাগত ৬৪, ইরফান ১৮*, সাইফ ১৫*; আবু জায়েদ ৩/৪৭, সোহাগ ২/৬৩, এনামুল জুনিয়র ০/৬৯, সাইফ উদ্দিন ০/৬, মুমিনুল ০/৯)।

ফল: ম্যাচ ড্র

ম্যান অব দা ম্যাচ: লিটন কুমার দাস