লিটন-আফিফের ব্যাটে ছয়শর কাছে পূর্বাঞ্চল

শিরোপা লড়াইয়ে নেই দুই দল। ম্যাচটি তাই এক রকম রূপ নিয়েছে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া মেলানোর ম্যাচে। তাতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস পেলেন আফিফ হোসেন। অনেক প্রাপ্তির পরও একটু না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়লেন লিটন দাস। প্রতিপক্ষের রান পাহাড় টপকে তাদের দলও নিল লিড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2018, 01:26 PM
Updated : 26 April 2018, 01:26 PM

বিসিএলের শেষ রাউন্ডে রাজশাহীতে তিন দিন শেষ হলেও শেষ হয়নি দুই দলের এক ইনিংস করে। প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল তুলেছিল ৫৪৬। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন শেষে পূর্বাঞ্চলের রান ৬ উইকেটে ৫৯২।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার হাতছানি থাকলেও লিটন আউট হয়ে গেছেন ২৭৪ রানে। আফিফ ফিরেছেন ১৪২ রানে।

এই দুজন জুটি বেঁধেছিলেন আগের দিনই। তৃতীয় দিনে জুটি এগিয়ে যায় অনেক দূর। শট খেলতে পছন্দ করেন দুজনই। তবে দিনের শুরুতে বেশি আগ্রাসী ছিলেন তরুণ আফিফই। লিটন হাত খোলেন ঘণ্টাখানেক দেখেশুনে খেলার পর।

১২৫ বলে ১৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা লিটন লাঞ্চের আগেই পৌঁছে যান দ্বিশতকে। ১৯০ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি।

আফিফ লাঞ্চে গিয়েছিলেন ৯৩ রানে। লাঞ্চের পর তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ১৫০ বলে। অষ্টম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তরুণ প্রতিভাবান অলরাউন্ডারের এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় সেশন অবশ্য নির্বিঘ্নে কাটাতে পারেনি এই জুটি। দুজনের জুটিতে যখন ট্রিপল সেঞ্চুরির অপেক্ষা, আফিফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইলিয়াস সানি।

১৫ চার ও ৫ ছক্কায় ২২৭ বলে ১৪২ করেছেন আফিফ। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৩৭। চতুর্থ উইকেটে লিটনের সঙ্গে তার জুটি ২৯৮ রানের।

জুটির মতো ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়নি লিটনের নিজেরও। সানির বলেই এলবিডব্লিউ হয়েছেন ২৭৪ রানে। ২৯৩ বলের ইনিংসে চার ৩৫টি, ছক্কা দুটি।

তিনশ না হলেও এবারের বিসিএলের রানের তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন লিটন। ৯৭.৩৭ গড়ে তার রান ৭৭৯। ছাড়িয়ে গেছেন তুষার ইমরানকে। ৭২৫ রান নিয়ে লিগ শেষ করেছেন তুষার।

লিটনদের এই রান উৎসবে যোগ দিতে পারেননি অভিজ্ঞ অলক কাপালী। তবে জাকের আলি ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের জুটিতে লিড নিয়েছে পূর্বাঞ্চল। অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটিতে দিন শেষ করেছেন দুজন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫৪৬

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৩৬ ওভারে ৫৯২/৬ (আগের দিন ২৬৪/৩) (লিটন ২৭৪, আফিফ ১৪২, অলক ১১, জাকের ৩২*, সাইফ উদ্দিন ২৯*; শরীফ ০/৬০, আবু হায়দার ০/৭৫, মোশাররফ ১/৮৫, শুভাগত ৩/১৫৬, সানি ২/১৩৫, সাইফ ০/৩৫, মজিদ ০/২৯)।