ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তিন দিনেই ইনিংস ও ৬৩ রানে জিতেছে নুরুল হাসানের দল। বিসিএলে এটি তাদের তৃতীয় শিরোপা।
৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শেষ রাউন্ড শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল ১৯ পয়েন্ট যোগ চলে গেছে সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ড্র করতে পারলেই শিরোপা ধরে রাখতে পারতো উত্তরাঞ্চল। কিন্তু হেরে গিয়ে রানার্সআপ হয়েছে জহুরুল ইসলামের দল। তাদের পয়েন্ট ৬২।
প্রথম ইনিংসে ১৯তম ওভারে আক্রমণে আসা রাজ্জাক দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে পান শুরুতেই। দুই দিন মিলিয়ে ২১.২ ওভারের টানা স্পেলে ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রায় একাই গুঁড়িয়ে দেন উত্তরাঞ্চলকে। ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো ম্যাচে পেলেন ১০ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন রাজ্জাক। এবার এনামুল হক জুনিয়রের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ালেন আরেকটু। ক্যারিয়ারে ৩৪তম বারের মতো ইনিংসে নিলেন ৫ উইকেট।
দুই বাঁহাতি স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি উত্তরাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্যে প্রতিরোধ গড়েন কেবল সোহরাওয়ার্দী শুভ। ৬০ বলে ৪১ রান করা এই অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো নিজের পঞ্চম উইকেট নেন রাজ্জাক। পরের বলেই শফিউল ইসলামকে ফিরিয়ে উত্তরাঞ্চলকে ১১৫ রানে থামিয়ে দেন তিনি।
সাকলাইন সজীব ৩ উইকেট নেন ৩৪ রানে। ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় উইকেটটি নেন ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮৭
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩৬৫/৮ ডিক্লেয়ার
উত্তরাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৪৩.২ ওভারে ১১৫ (মিজানুর ২০, জুনায়েদ ১৬, শান্ত ৪, ফরহাদ ৬, জহুরুল ১০, ধীমান ৪, আরিফুল ৪, শুভ ৪১, রেজা ০, তাইজুল ৮*, শফিউল ০; মাশরাফি ০/২৪, রাজ্জাক ৪৮/৬, সাকলাইন ৩/৩৪, নাহিদুল ০/২, ইমরুল ১/৬)
ফল: দক্ষিণাঞ্চল ইনিংস ও ৬৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আব্দুর রাজ্জাক
রোল অব অনার
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | রানার্সআপ |
২০১২-১৩ | মধ্যাঞ্চল | উত্তরাঞ্চল |
২০১৩-১৪ | দক্ষিণাঞ্চল | উত্তরাঞ্চল |
২০১৪-১৫ | দক্ষিণাঞ্চল | পূর্বাঞ্চল |
২০১৫-১৬ | মধ্যাঞ্চল | পূর্বাঞ্চল |
২০১৬-১৭ | উত্তরাঞ্চল | দক্ষিণাঞ্চল |
২০১৭-১৮ | দক্ষিণাঞ্চল | উত্তরাঞ্চল |