টেস্টে ফিরতে নিজেকেই মাশরাফির যে চ্যালেঞ্জ

মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন এখনও দুই বছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে তার। তবে আবার টেস্ট খেলার সম্ভাবনা তৈরির আগে কয়েকটি সমীকরণ মেলাতে চান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2018, 02:58 PM
Updated : 25 April 2018, 03:38 PM

বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে উইকেট নেওয়ার একটা উপায় বের করতে চান মাশরাফি। একই সঙ্গে চান পুরান বলে লম্বা সময় ধরে বোলিং করে যাওয়ার একটা পথের সন্ধান।

নিজের সবচেয়ে প্রিয় সংস্করণ টেস্টে ফেরার কথা ভাবার আগে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে নিতে চান মাশরাফি। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মাশরাফি জানান, লম্বা সময়ের বিরতির পর হুট করে টেস্ট খেলে ফেলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। 

“এমন না যে, ছয় মাস বা এক বছর (টেস্ট) খেলি না। প্রায় ৮ বছর বা ৯ বছর টেস্ট খেলি না। এর মধ্যে লাল বলে যাই খেলেছি, বিচ্ছিন্নভাবে ম্যাচ খেলেছি।”

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। এরপর আর টেস্টে ফিরেননি তিনি। তবে এই সংস্করণে ফেরার ইচ্ছে আছে দেশের হয়ে ৩৬ টেস্ট খেলা মাশরাফির।

“বয়স ৩৫ এর কাছে গেলেও যে ফিটনেস আছে তাতে আরও দুই বছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে আমার। এটা আমি বুঝতে পারি। বিশেষ করে ফিটনেস যে অবস্থায় আছে তাতে পারব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, পারফর্ম তো করে খেলতে হবে। এর জন্য তো আমার একটা উপায় বের করতে হবে।”

“শুধু তো নতুন বলে বোলিং করলে হবে না। ওয়ানডের মতো টেস্টে আপনাকে আক্রমণ করবে না। এখানে উইকেট বের করতে আপনাকে উপায় বের করতে হবে। আর নতুন বলের পর পুরান বলে আরও লম্বা সময় খেলা হয়। সেই সময়ে বোলিং করার উপায় বের করতে হবে। সেই পর্যায় না গিয়ে টেস্টে ফেরার ব্যাপারে বলা বা মন্তব্য করা কঠিন।”

মাশরাফি মনে করেন, বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে নিয়মিত হতে লম্বা একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হবে তাকে।

“ওই লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে তখন আমি বুঝতে পারব। তখন বিভিন্ন পথ বের হবে যে, আমি এভাবে (উইকেট) বের করতে পারব। তার আগ পর্যন্ত তো বলা কঠিন।” 

বিসিএলে খেলা উপভোগ করছেন মাশরাফি। ভবিষ্যতের ভাবনা দূরে রেখে সময়টা যতটা সম্ভব উপভোগ করে যেতে চান তিনি।

“টেস্ট ক্রিকেটের কথা বললে, আমার ইচ্ছা আছে। তবে এভাবে হুটহাট করে হবে না।”

“আমি তো (প্রথম শ্রেণির ম্যাচ) খেলি নির্দিষ্ট একটা চিন্তা থেকে। একটা ম্যাচে যদি ২৫-৩০ ওভার বোলিং করি, তাহলে আমার পরের চার-পাঁচ সপ্তাহের ওয়ার্কআউটটা হয়ে যায়। আমি কিন্তু ওই মানসিকতা থেকেই খেলি।”

প্রথম ইনিংসে ১২ ওভার বোলিং করে ৪৯ রানে ১ উইকেট নেন মাশরাফি। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।