রাজ্জাকের সাফল্যের পেছনে অজেয় থাকার মানসিকতা

চলতি মৌসুম দারুণ কাটছে আব্দুর রাজ্জাকের। একের পর এক সাফল্য ধরা দিচ্ছে তার মুঠোয়। প্রাপ্তির আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন না বাঁহাতি এই স্পিনার। তার কাছে এ সবই কঠোর পরিশ্রমের ফসল।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2018, 01:14 PM
Updated : 24 April 2018, 03:45 PM

কোনো পর্যায়েই হার মেনে নিতে পারেন না রাজ্জাক। নিজেদের সব সময় দেখতে চান চূড়ায়। নিজের দলকে নিয়ে যেতে চান সবার ওপরে। ৩৫ বছর বয়সী এই স্পিনার মনে করছেন, হার না মানার এই মানসিকতাই অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে তাকে।   

“খুব সম্ভবত আমি এই ধরনেরই মানুষ। কারণ, আমি নিজে দেখেছি আমি যেখানেই খেলি না কেন, চেষ্টা করি ভালো খেলে শীর্ষে থাকার জন্য। সব সময় যে হয় তা না, তবে চেষ্টা করি। হারটা মেনে নিতে পারি না। হতে পারে এসব কারণেই আমি অনুপ্রাণিত হই।” 

“প্রতি দিন সন্ধ্যায় খারাপ লাগলে তো সমস্যা। তার থেকে ভালো কিছুর চেষ্টা করা ভালো।”

দিনের খেলা শেষে নিজেদের খেলা নিয়ে খুশি থাকতে চান রাজ্জাক। তার জন্য প্রক্রিয়াগুলো ঠিক রেখে মাঠে কাজটা করে যাওয়াই তার লক্ষ্য। এখন আর কোন পর্যায়ে খেলছেন সে সব নিয়ে কোনো ভাবনা নেই তার। 

“খেলা চলছে, খেলছি এই-ই ভাবনা। আর কোনো ভাবনা নেই। খেলোয়াড়দের ভাবনা একটাই। যেখানেই খেলি না কেন ভালো খেলতে হবে।” 

বিসিএলের এবারের আসরে রাজ্জাকই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তার ধারে কাছে নেই কেউ। কদিন আগে দেশের প্রথম বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ছুঁয়েছেন পাঁচশ উইকেটের মাইলফলক। এবার এনামুল হক জুনিয়রকে পিছনে ফেলে নিজের করে নিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
“এখন মনে পড়ল। আগের দিন শুনেছিলাম, সমান সমান ছিল। আপনারা বলার পর মনে হল।” 
উত্তরাঞ্চলের প্রথম ইনিংসের পর রাজ্জাকের পাঁচ উইকেট হল ৩৩ বার। আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩২ বার।
দেরিতে বোলিংয়ে আসা রাজ্জাকই প্রথম দিনের নায়ক। তার ২০.৩ ওভারের লম্বা স্পেল গুঁড়িয়ে দেয় উত্তরাঞ্চলকে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেওয়া রাজ্জাক জানান, উইকেট থেকে বোলাররা বেশ সহায়তা পাওয়ায় ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা খুব কঠিন ছিল। 
 “দেখলেই বোঝা যায়, উইকেটে বোলারদের জন্য সাহায্য ছিল। বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত এ কারণেই নেওয়া হয়েছে। উইকেটে ঘাস থাকলে সে উইকেটে সাধারণত (টস জিতলে) ফিল্ডিংই করা হয়। আমি মনে করি, বোলাররা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেছে।”
“পরের দিকে ব্যাটিং সহজ হয়েছে। বিশেষ করে আমি পরের দিকে যে ৬/৭ ওভার বোলিং করেছি তখন দেখেছি সকালের চেয়ে ভালো।” 
প্রতিপক্ষকে প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া দক্ষিণাঞ্চল প্রথম দিন শেষে ১ উইকেটে করেছে ১১৫ রান। ফিফটি করে অপরাজিত আছেন এনামুল হক ও ইমরুল কায়েস। প্রথম দিন শেষে নিজেদেরকেই এগিয়ে রাখছেন রাজ্জাক। 
“প্রথম দিন শেষে অবশ্যই আশাবাদী। যে পরিস্থিতিতেই হোক আমরা চেষ্টা করি জেতার জন্য খেলতে। কখনও হয় কখনও হয় না। তবে মূল লক্ষ্য থাকে জয়। প্রথম দিন শেষে কিছুটা এগিয়ে আছি আমরা।”