রোমাঞ্চকর ম্যাচে সাকিবদের টানা দ্বিতীয় হার

টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট ছুঁতে চাই মাত্র একটি। কিন্তু টানা দুই ম্যাচেও ফুরোল না সাকিব আল হাসানের সেই প্রতীক্ষা। তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদও হারল টানা দ্বিতীয় ম্যাচ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ৪ রানে জিতে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 02:41 PM
Updated : 22 April 2018, 02:43 PM

আইপিএলে রোববার হায়দরাবাদে ঘরের দলকে হারানো এই জয়ে চেন্নাই উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।

শুরুটা ধীরগতির হলেও আম্বাতি রায়ডুর ঝড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে ১৮২ রান তুলে চেন্নাই। জবাবে কেন উইলিয়ামসনের অধিনায়কোচিত ব্যাটিং আর শেষ দিকে ইউসুফ পাঠান ও রশিদ খানের ঝড়ের পরও হায়দরাবাদ থমকে যায় ১৭৮ রানে। 

বল হাতে ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেট নেই সাকিবের। ব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না আবারও। আউট হয়েছেন ১৯ বলে ২৪ করে।

বোলিংয়ের শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাকিব। নিজের প্রথম ওভার পাওয়ার প্লেতে করেও রান দেন মাত্র ৪। পরের ওভারে দিয়েছেন ৫। কিন্তু শেষ ২ ওভারে গুনেছেন ২৩ রান।

সাকিবের বোলিং থেকে ধারণা পাওয়া যায় চেন্নাই ইনিংসের গতিপথেরও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান ছিল মাত্র ২৭। কিন্তু তিনে সুরেশ রায়না নামার পর একটু বাড়ে রানের গতি। চারে নামা রায়ডু পাল্টে দেন ইনিংসের চিত্র।

৩৭ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রায়ডু। ৪৩ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত রায়না। শেষ দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে অপরাজিত ২৫। শেষ ১১ ওভারে চেন্নাই তোলে ১৪১ রান।

আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫৫ রান দেওয়ার পর এবার ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন লেগ স্পিনার রশিদ খান।

চোটের কারণে হায়দরাবাদ এই ম্যাচে পায়নি দলের সেরা ব্যাটসম্যান ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে। তাদের রান তাড়ার শুরুটাও হয় বাজে। ৫ ওভারের মধ্যে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। তিনটি উইকেটই নেন পেসার দিপক চাহার।

সেখান থেকে উইলিয়ামসন ও সাকিবের জুটি লড়াইয়ে ফেরার দলকে। বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালোই করেন সাকিব। উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই পুল করে বাউন্ডারি মারেন শেন ওয়াটসনকে। ওই ওভারেই হুক করে ছক্কা।

কিন্তু ইনিংস টেনে নিতে পারেননি এদিনও। লেগ স্পিনার কর্ন শর্মার দুটি বলে রান নিতে না পেরে পরের বলে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ফাইন লেগে।

উইলিয়ামসন চেষ্টা করেছেন এরপরও। আরেক পাশে তান্ডব চালান পাঠান। কিন্তু ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৮৪ করে আউট হন উইলিয়ামসন। পরের ওভারে আউট হয়ে যান ২৭ বলে ৪ ছক্কায় ৪৫ রান করা পাঠানও। অনেকে সেখানেই দেখছিলেন হায়দরাবাদের আশার সমাপ্তি।

কিন্তু শেষ দিকে খেলা আবার জমিয়ে দেন রশিদ খান। উইকেটে গিয়েই ছক্কা মারেন শার্দুল ঠাকুরকে। শেষ ওভারে শেষ তিন বলে যখন প্রয়োজন ১৬ রান, টানা দুই বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে মারেন ছক্কা ও চার।

শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রান। এবার রশিদ নিতে পারেন কেবল সিঙ্গেল। ৪ বলে তার অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংস যথেষ্ট হলো না দলকে জেতাতে।