অভিজ্ঞ স্পিনার নিয়েছেন ৬ উইকেট। সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে ছুঁয়েছেন এনামুল হক জুনিয়রকে।
বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনে রাজশাহীতে প্রথম দিনে অনেকটা এগিয়ে ছিল মধ্যাঞ্চল। বুধবার দ্বিতীয় দিনে লড়াইয়ে ফিরেছে দক্ষিণাঞ্চল। ২ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে শুরু করা মধ্যাঞ্চলকে ৩০২ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণাঞ্চল। নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে।
প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের লিড ছিল ১১১ রানের। দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চল সেটি কমিয়ে এনেছে ৬১ রানে। হাতে ৯ উইকেট।
বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় এদিন খেলা শুরু হয় দেরিতে। মধ্যাঞ্চলের শুরুটাই ধাক্কা হজম করে। আগের দিনের সঙ্গে আর ১ রান যোগ করে রান আউট অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব।
এরপর উইকেট হারাতে থাকে তারা নিয়মিত বিরতিতে। মাহমুদউল্লাহ ও তানবীর হায়দার শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এই দুজনের মাঝে বিদায় নেন ভরসা হয়ে থাকা সাদমানও।
সপ্তম উইকেটে ইরফান শুক্কুর ও মোশাররফ হোসেন গড়েন ৭৯ রানের জুটি। লিড পেরিয়ে যায় শতরান। দক্ষিণাঞ্চল তখনই ম্যাচে ফেরে দারুণভাবে। ১১ চারে ৫৪ রানে আউট হন ইরফান। ১ রানে মধ্যাঞ্চল হারায় শেষ ৪ উইকেট। এর তিনটিই নেন রাজ্জাক।
সব মিলিয়ে ৩১ ওভারে ১০৬ রানে রাজ্জাকের উইকেট ৬টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ উইকেট নিলেন ৩২ বার। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেটে স্পর্শ করলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়রের রেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণাঞ্চল ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে হারিয়েছে দ্রুত। তবে এনামুল হক ও ইমরুল কায়েসের জুটি পার করে দিয়েছে দিন। ৩১ রানে অপরাজিত এনামুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯১
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৮.৩ ওভারে ৩০২ (আগের দিন ১৫৪/২) (সাদমান ৯৩, মার্শাল ১৫, মাহমুদউল্লাহ ১৪, তানবীর ২২, ইরফান ৫৪, মোশাররফ ২৮, আবু হায়দার ০, শাকিল ১, এবাদত ০*; কামরুল ০/৭৭, জিয়াউর ০/২৮, নাঈম ৩/৮৮, এনামুল ০/৭, রাজ্জাক ৬/১০৬)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৯ ওভারে ৫০/১ (এনামুল ৩১*, ফজলে রাব্বি ৯, ইমরুল ১০*; আবু হায়দার ০/১১, শাকিল ০/৭, এবাদত ০/১৯, মোশাররফ ০/৬, তানবীর ১/৫, মাহমুদউল্লাহ ০/২)।