বিসিএলের পঞ্চর রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ ১১০ রান। লিটন ৫২ ও তাসামুল ৪৯ রানে অপরাজিত।
প্রথম ইনিংসে ৪১৫ রান করা উত্তরাঞ্চল এখনও ৩০৫ রানে এগিয়ে।
শফিউল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাতদের শুরুর এলোমেলো বোলিংয়ের ফায়দা তুলে নেন লিটন-তাসামুল। বাজে বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এগিয়ে যান দ্রুত।
দুই জনের মধ্য বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন লিটন। ৫৭ বলে আসে তার ফিফটি। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ৭০ বলের ইনিংসে ৬টি চারের পাশে দুটি ছক্কা। ফিফটির অপেক্ষায় থাকা তাসামুলের ৯২ বলের ইনিংসে চার ছয়টি। দুই জনই জীবন পেয়েছেন একবার করে।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে বুধবারের খেলা শুরু করে উত্তরাঞ্চল।
তিন পেসার আবু জায়েদ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও খালেদ আহমেদ টানা বাউন্সার দিয়ে জমে উঠা জুটি ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে তাদের বাউন্সার লক্ষ্যে থেকেছে কমই। বেশিরভাগই মাথার ওপর দিয়ে যওয়ায় সহজেই ছেড়ে দিতে পেরেছেন দুই ব্যাটসম্যান।
দিনের শুরুতে ১৩৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন অধিনায়ক জহুরুল। মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ২১৫ বলে যান তিন অঙ্কে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি।
২৩৮ বলে ১২ চারে ১১৩ রান করা জহুরুলকে কট বিহাউন্ড করে বিদায় করেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১৮৪ রানের বড় জুটি ভাঙার পর আরেকটি সাফল্য পেতে পারতেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে সে সময় ৯৩ রানে থাকা আরিফুলের ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি তিনি।
সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে নড়বড়ে ব্যাটিং করা আরিফুল ফিরে যান তিন অঙ্ক ছুঁয়েই। আবু জায়েদের বলে স্কয়ার লেগে সোহাগ গাজীর চমৎকার এক ক্যাচ শেষ হয় তার ১০১ রানের ইনিংস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আরিফুলের সপ্তম সেঞ্চুরিটি গড়া ৭ চার ও এক ছক্কায়।
দলকে চারশ রানে নিয়ে যাওয়া তাইজুলকে শর্ট বলে ফেরান খালেদ আহমেদ। চা-বিরতির পর চার বলের মধ্যে শরিফুল ও ইয়াসিনকে ফিরিয়ে উত্তরাঞ্চলকে গুঁটিয়ে দেন সোহাগ। ৯১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ২০৪/৫) ১২২.৪ ওভারে ৪১৫ (মিজানুর ৪৬, জুনায়েদ ৭, শান্ত ৭৩, ফরহাদ ৮, জহুরুল ১১৩, ধীমান ১, আরিফুল ১০১, তাইজুল ৩০, শফিউল ১৭*, শরিফুল ২, ইয়াসিন ০; আবু জায়েদ ১/১২০, সাইফ ১/৫৮, খালেদ ১/৫১, সোহাগ ৪/৯১, আশরাফুল ২/৬৩, মুমিনুল ১/২৮)
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৭ ওভারে ১১০/০ (তাসামুল ৪৯*, লিটন ৫২*; শফিউল ০/২৫, ইয়াসিন ০/২১, তাইজুল ০/২৮, শরিফুল ০/১৭, আরিফুল ০/১২)