মুস্তাফিজের বিবর্ণ দিনে মুম্বাইয়ের প্রথম জয়

আগের তিন ম্যাচেই উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু হেরেছিল দল। চতুর্থ ম্যাচে এসে উইকেটশূন্য মুস্তাফিজুর রহমান। ছিলেন ভীষণ খরুচেও। তবে এই ম্যাচেই মৌসুমে প্রথম জয়ের দেখা পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2018, 06:39 PM
Updated : 17 April 2018, 06:39 PM

মুম্বাইয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৪৬ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে মুম্বাই ২০ ওভারে করেছিল ২১৩। বেঙ্গালুরু থমকে গেছে ১৬৭ রানে।

৪ ওভারে বোলিং করে ৫৫ রান গুনেছেন মুস্তাফিজ। হজম করেছেন চারটি করে চার ও ছক্কা। কুইন্টন ডি কক, বিরাট কোহলিরা তো বটেই, মুস্তাফিজকে এদিন ছক্কা মেরেছেন লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ সিরাজও।

ব্যাট হাতে এদিন জ্বলে উঠেছেন দুই দলের অধিনায়কই। ৫২ বলে ৯৪ করেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৯২ রানে অপরাজিত বিরাট কোহলি। তবে রোহিতের পাশে ছিল এভিন লুইস, হার্দিক পান্ডিয়াদের পারফরম্যান্সও। কোহলির লড়াই ছিল একার।

আগের তিন ম্যাচের দুটি শেষ বলে হেরেছিল মুম্বাই, এক ম্যাচে শেষের আগের বলে। এই ম্যাচে জয়টা সহজ হলেও মুম্বাইয়ের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ম্যাচের প্রথম দুই বলেই সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিশানকে বোল্ড করে দেন উমেশ যাদব।

তবে সেই ধাক্কায় ভেঙে পড়েনি মুম্বাই। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পাল্টা জবাব দেন এভিন লুইস। সঙ্গ দেন রোহিত শর্মা। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েন ৬৬ বলে ১০৮ রানের জুটি। ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৫ করে আউট হন লুইস।

লুইসের বিদায়ের পর ঝড় তোলেন রোহিত। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মুম্বাই অধিনায়ক করেন ৫২ বলে ৯৪। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ৫ বলে ১৭ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ ৫ ওভারে মুম্বাই তোলে ৭০ রান।

বড় রান তাড়ায় বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয়েছিল দারুণ। বিরাট কোহলি ও কুইন্টন ডি কক ৪ ওভারে তোলেন ৪০ রান।

এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা মিচেল ম্যাকক্লেনাগন বেঙ্গালুরুকে জোর ধাক্কা দেন পঞ্চম ওভারে। এক ওভারেই ফেরান ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে।

পরে ক্রুনাল পান্ডিয়া পরপর দুই বলে ফেরান মানদিপ সিং ও কোরি অ্যান্ডারসনকে। বেঙ্গালুরুর রান তাড়ার আশা শেষ তখনই।

কোহলি এক প্রান্তে খেলে গেছেন নিজের মত। আর কেউ করতে পারেনি ২০ রানও। শেষ পর্যন্ত কোহলির দারুণ অপরাজিত ইনিংসেই কমেছে ব্যবধান। তার পরও মুম্বাইয়ের জয়টা ছিল অনায়াসই।