এই চোটের কারণে চলতি বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডে খেলতে পারবেন না মুশফিক। বিশ্রামে থাকতে হবে সপ্তাহখানেক। এরপর তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে।
মুশফিক এই চোট বাধিয়েছেন বিসিএলের গত রাউন্ডে নিজ শহর বগুড়ায়। উত্তরাঞ্চলের হয়ে ওই ম্যাচে করেছিলেন সেঞ্চুরি। গত শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিনে অনুশীলনে ফুটবল খেলতে গিয়ে এক সতীর্থের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চোট পান অ্যাঙ্কেলে।
ঢাকায় ফিরে সোমবার দেবাশীষ চৌধুরীকে চোটের জায়গা দেখান মুশফিক। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, খুব লম্বা সময় বাইরে থাকার মতো চোট নয়।
“ওর অ্যাঙ্কেল স্প্রেইন হয়েছে। জায়গাটা ফুলে আছে। আপাতত বিশ্রামে থাকবে। বিসিএলের এই রাউন্ডে খেলতে পারবে না। এক সপ্তাহ পর অবস্থা বুঝে অবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কনজারভেটিভ উপায়েই এগোচ্ছি। এজন্য একটু সময় লাগতে পারে। তবে অপারেটিভ পথে যেতে হবে বলে মনে হচ্ছে না।”
সম্প্রতি ছুটিতে গিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে অন্তত ৬ মাসের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন নাসির হোসেন। গত মঙ্গলবারই ফুটবল খেলাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে না নিতে অনুরোধ করেছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
নাসির, মুশফিক ছাড়াও এখন চোট নিয়ে পুনর্বাসনে আছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। মেহেদী হাসান মিরাজের পুরোনো কাঁধের চোট মাথাচাড়া দিয়েছে আবার। তাসকিন আহমেদের পিঠে ব্যথা। সবাইকেই কনজারভেটিভ উপায়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে।
কদিন আগে যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন দেবাশীষ চৌধুরী, মুশফিকের চোটের পর সেই শোনালেন আবার।
“ওদেরকে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। সবাই সবকিছু জানে। এমনিতে ক্রিকেটারদের চোট হতেই পারে। তার পরও সবাইকে একটু সাবধান থাকতে হবে। কমনসেন্স কাজে লাগাতে হবে। নিজের খেয়াল রাখতে হবে যথাযথভাবে।”