আশা জাগিয়েও পারলেন না মুস্তাফিজ

শেষ ওভারে তার দুই বলে হাত থেকে অনেকটাই ফসকে গিয়েছিল ম্যাচ। এর পরের তিন বলেই আবার জেগেছিল রোমাঞ্চ। তবে শেষ বলে রান আটকাতে পারলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। পারল না তাই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও। দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংস খেলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে জেতালেন জেসন রয়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2018, 02:34 PM
Updated : 14 April 2018, 07:28 PM

শনিবার ঘরের মাঠে ১৯৪ রান তুলেও মুম্বাই হারল রয়ের অসাধারণ ইনিংসটির কাছেই। নতুন দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৫৩ বলে ৯১ রান করেছেন ইংলিশ ওপেনার। দিল্লি জিতেছে ৩ উইকেটে।

৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো বিচারেই তা ভালো বোলিং। এমন বড় রান তাড়ার ম্যাচে তো আরও ভালো। কিন্তু শেষটা হতাশার বলেই এদিন একটু ম্লান মুস্তাফিজও। এর আগে ১৭তম ওভারে ক্যাচও ছেড়েছিলেন দুটি।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম বলেই চার মেরে দেন রয়; পরের বলে ছক্কা। ড্রেসিং রুমে অধিনায়ক গৌতম গম্ভিরসহ দিল্লির ক্রিকেটারদের উল্লাস। জয় নিশ্চিত! কিন্তু নাটকীয়তার তখনও বাকি। স্লোয়ার ও কাটার মিলিয়ে পরের তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারলেন না রয়!

মুম্বাই তখন আশায় সুপার ওভারের। কিন্তু হলো না। শেষ বল উড়িয়ে মেরে বৃত্ত পার করে দলকে জেতালেন রয়।

বড় রান তাড়ায় দিল্লিকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন মুস্তাফিজই। রয়ের সৌজন্যে দিল্লির শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু মুস্তাফিজ ঠিকই ছিলেন উজ্জ্বল। পাওয়ার প্লেতে প্রথম ওভার করে রান দেন মাত্র চার।

ছবি: আইপিএল

তার পরও ৫ ওভারেই ৫০ করে ফেলে দিল্লি। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজ ফেরান গম্ভিরকে।

কিন্তু রয়কে থামানো যায়নি। চারে নেমে ২৫ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন রিশাভ পান্ত। বড় ভাই ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার অসাধারণ ক্যাচ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে থামায় ৬ বলে ১৩ রানে।

এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে দলকে দারুণ জয় এনে দেন রয়। ২০ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন আইয়ার।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই যেভাবে ছুটছিল, তাতে রান হতে পারত দুইশর বেশি। ৯ ওভারে ১০২ রানের উদ্বোনী জুটি গড়েন এভিন লুইস ও সূর্যকুমার যাদব। ২৮ বলে ৪৮ করেন লুইস, ৩২ বলে ৫৩ সূর্যকুমার। তিনে নেমে তরুণ কিপার ব্যাটসম্যান ইশান কিশান করেন ২৩ বলে ৪৪।

শেষ দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে মুম্বাইকে দুইশর নিচে আটকে রাখে দিল্লি। রানটা তার পরও ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু দিনটি ছিল যে জেসন রয়ের!