নিজ শহরে মুশফিকের সেঞ্চুরি

বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না অনেক দিন। শীর্ষ জাতীয় তারকাদের ঘরোয়া বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচ খেলা হয় কদাচিৎ। সব মিলিয়ে নিজ শহর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে কমই খেলার সুযোগ হয় মুশফিকুর রহিমের। অনেক দিন পর সুযোগ এলো। মুশফিক উপলক্ষ্য রাঙালেন সেঞ্চুরিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2018, 01:21 PM
Updated : 11 Oct 2019, 12:33 PM

২০১৫ সালের অক্টোবরে জাতীয় লিগে বগুড়ায় সবশেষ খেলেছিলেন মুশফিক। এবার ঘরের মাঠে তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বিসিএলে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই করছে উত্তরাঞ্চল।

বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডে বগুড়ায় তৃতীয় দিন শেষে উত্তরাঞ্চলের রান ৭ উইকেটে ২৮৬। মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছিল ৫২৯ রান। উত্তরাঞ্চলের সামনে তাই ফলো অনের শঙ্কা আছে এখনও। আছে হারের শঙ্কাও।

বড় স্কোরের জবাবে বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের শুরুতে উত্তরাঞ্চল হারায় অভিজ্ঞ ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিককে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আলো ছড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান। শান্তর ব্যাটে ছিল ওয়ানডের সুর। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৩৬ বলে ৯ চারে ৪৫ করে বোল্ড হন মোশাররফ হোসেনের বাঁহাতি স্পিনে।

থিতু হয়ে যাওয়া মিজানুরকেও ৩২ রানে ফেরান মোশাররফ। উত্তরাঞ্চলকে ভুগতে হয় চোটের কারণে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ব্যাট করতে না পারায়। প্রমোশন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি সানজামুল ইসলাম ও ধীমান ঘোষ। ১২৪ রানে হারায় তারা ৫ উইকেট। মুশফিকের লড়াই তখন শুরু হয়ে গেছে। ষষ্ঠ উইকেটে সঙ্গী পান আরিফুল হককে। ৮৩ রানের জুটিতে দলকে টানেন দুজন।

৪২ রানে আরিফুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার তানবীর হায়দার। পরে ফরহাদ রেজাও ফিরেছেন দ্রুত। মুশফিককে সঙ্গ দেন এরপর তাইজুল ইসলাম। অষ্টম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৬০।

মুশফিক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন দিনের শেষ সময়ে। ১০১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে এটি তার মাত্র নবম সেঞ্চুরি। টেস্টের বাইরে ৪১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সেঞ্চুরি এটি চতুর্থ। আগের ছিল বিসিএলেই, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বিকেএসপিতে।

দিনশেষে মুশফিক অপরাজিত ১৯৯ বলে ১০১ রানে। উত্তরাঞ্চলের ম্যাচ বাঁচানোর আশাও টিকে তার ব্যাটেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫২৯

উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২৮৬/৭ (মিজানুর ৩২, জুনায়েদ ৭, শান্ত ৪৫, মুশফিক ১০১*, সানজামুল ১৪, ধীমান ৯, আরিফুল ৪২, ফরহাদ রেজা ৪, তাইজুল ২১*; আবু হায়দার ১/৫৭, শরিফ ০/৪৮, এবাদত ৩/৫৮, মোশাররফ ২/৫৩, তানবীর ১/৪২, মাহমুউল্লাহ ০/২২)।