সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। তবে ওভারপ্রতি রান গুনেছেন ছয়ের বেশি। খরুচে বোলিংয়ের জন্য আবাহনীর একাদশে জায়গাও হারিয়েছেন বার তিনেক।
ঢাকা লিগের আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচেও বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বেশ খরুচে। সবশেষ চার ওয়ানডেতে ওভারপ্রতি রান গুনেছেন সাতের বেশি। সবশেষ ছয়টি টি-টোয়েন্টিতে রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি নয়ের বেশি।
তার বোলিংয়ের বড় শক্তি ছিল গতি। একসময় নিয়মিতই বল করেছেন ১৪৫ কিলোমিটারের আশেপাশে। সেই গতি এখন অনেকটাই কমে এসেছে। ১৪০ স্পর্শ করেন কদাচিৎ। ১২৫-১৩০ কিলোমিটার গতিই দেখা যায় বেশিরভাগ সময়।
বিসিবির প্রধান চিকিৎকের মতে, তাসকিনের এই দুর্গতির একটি কারণ হতে পারে পিঠের ব্যথা। প্রিমিয়ার লিগের পর থেকে সেই ব্যথার চিকিৎসা করাচ্ছেন তাসকিন। চেষ্টা করা হচ্ছে, অপারেশন ছাড়াই চোট সারিয়ে তুলতে।
“গত ৩-৪ মাস ধরে ওর ব্যাক পেইন। এমনিতে এই ধরনের ব্যথা পেস বোলারদের জন্য খুবই কমন। এত দিন ম্যানেজেবল অবস্থায় ছিল। কিছুদিন ধরে ভোগাচ্ছে। ওর পারফরম্যান্সে যে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে, ব্যাক পেইন একটা কারণ হতে পারে। চেষ্টা করছি কিছু ওষুধ ও ফিজিওথেরাপি দিয়ে ম্যানেজ করার। পরিস্থিতি এই পর্যায়ে যায়নি যে অপারেশন লাগবে। আশা করছি, ইনজেকশন, ফিজিওথেরাপি ও এক্সারসাইজ, এসব দিয়েই ঠিক করে তোলা যাবে।”
তাসকিনের পিঠের ব্যথার আগে থেকেই হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন তামিম ইকবাল। সেই চোট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে চলছে তার পুনর্বাসন। দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, তামিমের অগ্রগতি বেশ ভালো।
“তামিমের ইনজুরিটা হাঁটুর দু-তিনটা ইনজুরি মিলিয়ে হয়েছে। হাঁটুর জয়েন্টে সমস্যা আছে, জয়েন্টের বাইরেও আছে। আমরা জয়েন্টের বাইরের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছি। ভালো উন্নতি হচ্ছে। আরও সপ্তাহ তিনেক সময় লাগবে রিহ্যাব পুরো করতে। ব্যাটিংয়ে সমস্যা হচ্ছে না। রানিং বা স্প্রিন্টিংয়ে সমস্যা হচ্ছে, স্কিল ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছে। ওর উন্নতি সন্তোষজনক। এই মুহূর্তে আশা করছি অপারেশন লাগবে না ওর।”