বিসিএলের প্রথম তিন রাউন্ডে দুটি সেঞ্চুরি করেন তুষার। তার চারটি ইনিংস এমন- ১০৫, ৫৬, ১৬*, ১৪৮। আড়াই মাসের বিরতিতে যেন একটুও ছন্দপতন হয়নি। টানা দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তুষার। ২২১ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় করলেন ১৩০ রান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। তৃতীয় ওভারে আবু জায়েদকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ওভারে রান আউট হয়ে ফিরে যান এনামুল হক। আরেক ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস ফিরেন থিতু হয়ে।
৪৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানো দক্ষিণাঞ্চল প্রতিরোধ গড়ে তুষার ও ফজলে মাহমুদের ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েন ১৬৫ রানের চমৎকার জুটি। দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিরোধ ভাঙেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। তার বলে লিটন দাসের গ্লাভস বন্দি হয়ে ফিরেন মাহমুদ। ১৬১ বলে খেলা তার ৮৯ রানের ইনিংসটি গড়া ১১ চার ও ১ ছক্কায়।
মিডল অর্ডারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। পেসার খালেদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাঁহাতি এই ব্যাটমসম্যান।
তিন বলের মধ্যে মোহাম্মদ মিঠুন ও নাঈম হাসানের উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। দিনের বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন নুরুল-দেলোয়ার।
দুটি করে উইকেট নেন পূর্বাঞ্চলের দুই পেসার খালেদ ও সাইফ। একটি করে উইকেট নেন জায়েদ ও সোহাগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮৭.১ ওভারে ২৯৯/৭ (শাহরিয়ার ১৭, এনামুল ৬, মাহমুদ ৮৯, তুষার ১৩০, সৌম্য ৪, মিঠুন ২২, নুরুল ৪*, নাঈম ০, দেলোয়ার ৪*; জায়েদ ১/৪৯, সাইফ ২/৪০, খালেদ ২/৬৭, সোহাগ ১/৬৫, আফিফ ০/২৫, কাপালী ০/৩৫, আশরাফুল ০/৬)