আবাহনীর লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারে বড় অবদান রয়েছে শান্তর। লিগে পেয়েছেন চার সেঞ্চুরি। ৭৪৯ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের কথা আলাদা করেই বললেন মাশরাফি।
“নিজের যত্ন নেওয়ার আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি হওয়ার এটা ওর সেরা সময়। এখান থেকে যেন আরেক ধাপ এগিয়ে টিকে থাকতে পারে, তেমনভাবে প্রস্তুত হতে হবে। দীর্ঘদিন যেন দেশকে সার্ভিস দিতে পারে তেমনভাবে তৈরি হতে হবে। স্বপ্নটা যেন ছোট না হয়।”
“শান্তকে জাতীয় দলে চিন্তা করা খুব দ্রুত হয়ে যাবে। ওর কাছ থেকে যেটা প্রত্যাশা সেটা যেন হারিয়ে না যায়। আমি নিশ্চিত, শান্ত লম্বা রেসের ঘোড়া। বিপিএলে মোটামুটি পারফরম্যান্স করেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটেও করছে।”
শেষ ম্যাচে ১১৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আবাহনীর ওপেনার এনামুল হককে ছাড়িয়ে যান শান্ত। ছন্দে থাকা এনামুল দুটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটিতে করেন ৭৪৪ রান। ফাইনালে সুর বেঁধে দেওয়ায় তারও প্রশংসা করেন মাশরাফি।
“ব্যাটিংয়ে যদি দেখেন, বিজয় (এনামুল) আক্রমণাত্মক ছিল। একজনকে সামনে থেকে আক্রমণাত্মক খেলতেই হয়। যেটা আজকে বিজয় করেছে।... আমি মনে করি, শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজয়ের ইনিংসটা খুব ভালো ছিল। হয়তো একশ হতে পারত।”
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে দলের শেষ ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া এনামুল ফিরেন ৫৭ রান করে।
শিরোপা জয়ে সতীর্থ তিন ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন, সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুনেরও বড় অবদান দেখেন মাশরাফি।
“লিগে ভালো করেছে এমন অনেক খেলোয়াড় আছে। মিঠুন কয়েকটা ম্যাচে ভালো করেছে। সাইফ ভালো করেছে, কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে হয়তো শেষ কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেনি। নাসির ভালো করেছে। অন্য দলগুলোতেও বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে। সামনে ‘এ’ দল কিংবা এইচপি দলে তারা সুযোগ পেয়ে নিজেদের প্রমাণ করবে।”
টুর্নামেন্টে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি পেসার তাসকিন আহমেদ ও অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। দুই তরুণ সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি।
“ক্রিকেটাদের খারাপ সময় যায়। এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমি যতটুকু জানি, গত কয়েক মাস ধরে তাসকিনের ব্যাক পেইন হচ্ছে।”
“মোসাদ্দেকও চোখের একটা সমস্যা কাটিয়ে এসেছে। ওদেরকে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। আশা করি ওরা ছন্দে ফিরবে।”