সোধি ও ওয়েগনার অষ্টম উইকেটে ৩১.২ ওভারে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। সোধি ১৬৮ বলে ৯টি চারে অপরাজিত থাকেন ৫৬ রানে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ওয়েগনার ১০৩ বলে খেলে করেন ৭ রান।
হ্যাগলি ওভালে মঙ্গলবার বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে নিউ জিল্যান্ড। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল আরও ৩৪০ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ার চেষ্টাতেই যায়নি নিউ জিল্যান্ড।
পরের বলে মিলে আরও বড় শিকার। অধিনায়ক উইলিয়ামসনের উইকেট। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ দেন ব্রড।
ব্রডের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া রস টেইলর বেশিক্ষণ টিকেননি। তাকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম উইকেট নেন জ্যাক লিচ। মিডল অর্ডারের আরেক ভরসা হেনরি নিকোলসকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
এক প্রান্ত আগলে রাখা টম ল্যাথামকে ফেরান লিচ। বাঁহাতি স্পিনারের বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন জেমস ভিন্স। ২০৭ বলে খেলা ল্যাথামের ৮৩ রানের ইনিংস গড়া ১০টি চারে।
এরপরই শুরু হয় সোধির প্রতিরোধ। প্রথম পর্বে তার সঙ্গী ছিলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুই জনে কাটিয়ে দেন ২৫.৫ ওভার। উডের শর্ট বল পুল করে উড়ানোর চেষ্টায় ডি গ্র্যান্ডহোমের বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
তখনও খেলার অনেক বাকি। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল শেষ ৩ উইকেট। কিন্তু ওয়েগনারকে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটিতে ম্যাচ বাঁচান তৃতীয় ফিফটি পাওয়া সোধি।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন টিম সাউদি। দুই ম্যাচেই দারুণ বোলিং করা ট্রেন্ট বোল্ট জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩০৭
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৭৮
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৫২/৯ ইনিংস ঘোষণা
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৮২) ১২৪.৪ ওভারে ২৫৬/৮ (ল্যাথাম ৮৩, রাভাল ১৭, উইলিয়ামসন ০, টেইলর ১৩, নিকোলস ১৩, ওয়াটলিং ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ৪৫, সোধি ৫৬*, ওয়েগনার ৭; অ্যান্ডারসন ১/৩৭, ব্রড ২/৭২, উড ২/৪৫, লিচ ২/৬১, রুট ১/২৮, স্টোকস ০/২, মালান ০/৯)
ফল: ড্র
সিরিজ: ১-০ ব্যবধানে জয়ী নিউ জিল্যান্ড
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: টিম সাউদি
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ট্রেন্ট বোল্ট