শেখ জামালকে শিরোপা লড়াইয়ে রাখলেন তানবীর

শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখলেন তানবীর হায়দার। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম দোলেশ্বরকে হারিয়েছে নুরুল হাসানের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2018, 11:44 AM
Updated : 2 April 2018, 11:44 AM

রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে দশম উইকেট জুটির দারুণ প্রতিরোধ ভেঙে ১০ রানের জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় দোলেশ্বরের ইনিংস।
 
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সোমবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে শেখ জামাল। সৈকত আলী, উন্মুক্ত চাঁদ ও পিনাক ঘোষ দশম ওভারে ১ উইকেটে ৬৭ রানের ভালো অবস্থানে নিয়ে যান দলকে। 
 
চাঁদ, পিনাক ও নুরুলের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় শেখ জামাল। তানবীরের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের ৫৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ২৯ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জিয়া।  
 
তার উইকেট দিয়ে শুরু ধসের। মাত্র ২৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। তখনও তাদের ইনিংসের বাকি ১২ ওভার। 
 
৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তানবীর। তার ৭০ বলের ইনিংস গড়া তিনটি চারে। 
 
১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দোলেশ্বরের সেরা বোলার জাকারিয়া মাসুদ।
 
রান তাড়ায় ২২ রানে দুই ওপেনারকে হারানো দোলেশ্বর প্রতিরোধ গড়ে আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুবের ব্যাটে। দুই জনে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। 
 
মার্শাল ফিরেন ২৯ রান করে। মাহমুদ ৩৫। মার্শালের উইকেট দিয়ে ধস নামে দোলেশ্বরের ইনিংসে। ৩৬ রান যোগ করতে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। 
 

শেখ জামালের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন তানবীর। এই লেগ স্পিনার পরপর চার ওভারে ফিরিয়ে দেন মাহমুদ, শরিফউল্লাহ, ফরহাদ রেজা ও নাসুম আহমেদকে।
১০৬ রানে ৯ উইকেট হারানো দোলেশ্বর এরপরই পেয়ে যায় নিজেদের সেরা জুটি। দশম উইকেটে সালাউদ্দিন শাকিলের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটিতে আরাফাত সানি জয়কে নিয়ে এসেছিলেন দৃষ্টি সীমানায়। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি।
ফিরতি ক্যাচ নিয়ে শাকিলকে ফিরিয়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন রবিউল হক। ৪১ বলে ৩১ রান করেন শাকিল। সানি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। 
৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা বোলার লেগ স্পিনার তানবীর। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য তিনি জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে আবাহনী। শিরোপা লড়াইয়ে থাকা অন্য দুই দল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামালের পয়েন্ট ২০ করে। 
 
নিজেদের শেষ ম্যাচে রূপগঞ্জকে হারালেই ২৪ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে আবাহনী। 
 
শেষ রাউন্ডে আবাহনী রূপগঞ্জের কাছে হারলে এবং শেখ জামাল খেলাঘরকে হারালে তিন দলেরই পয়েন্ট হবে ২২ করে। তখন তিন দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় শিরোপা ঘরে তুলবে শেখ জামাল।       
 
তিন দলের আগের পাঁচ ম্যাচে শেখ জামালের জয় তিনটি, আবাহনীর দুটি।
 
আবাহনী ও শেখ জামাল হারলে সুযোগ থাকবে রূপগঞ্জের (০.৫০৭)। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকা (০.৮৬৮) আবাহনীকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে তাদের। তা না হলে শেখ জামাল হারলে আবাহনী হেরেও শিরোপা ঘরে তুলবে।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৩৮ ওভারে ১৮৩ (সৈকত ১৭, চাঁদ ২৭, পিনাক ২৪, তানবীর ৪৩*, নুরুল ২০, জিয়া ৩৯, সোহাগ ১, ইলিয়াস সানি ১১, রবিউল ০, নাজমুল ০, আবু জায়েদ ০; রেজা ২/২৪, শাকিল ১/৩২, আরাফাত সানি ১/২৯, শরিফউল্লাহ ২/৫২, নাসুম ১/৩৫, জাকারিয়া ৩/১০)
 
প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৮.২ ওভারে ১৭৩ (ইমতিয়াজ ১৪, লিটন ১, মাহমুদ ৩৫, মার্শাল ২৯, ফরহাদ ১, শরিফউল্লাহ ১৩, জাকারিয়া ৩, রেজা ১, নাসুম ০, আরাফাত সানি ৩৫*, শাকিল ৩১; নাজমুল ২/৩৭, আবু জায়েদ ১/২২, সোহাগ ০/২৯, রবিউল ১/৩৬, ইলিয়াস সানি ১/১৮, তানবীর ৪/৩১)
 
ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ১০ রানে জয়ী
 
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তানবীর হায়দার