কেপ টাউন টেস্টের টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে শাস্তি হওয়া তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শাস্তি দেওয়া হয়েছে ওয়ার্নারকেই। স্টিভেন স্মিথের মতো তারও নিষেধাজ্ঞা এক বছরের। তবে সহ-অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর কখনোই নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে না তাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে টুইটারে জানিয়েছিলেন, সামনে আসবেন শিগগিরই। কথা রেখেই সংবাদ সম্মেলন করলেন শনিবার।
সিডনি ক্রিকেট মাঠে সংবাদ সম্মেলনে স্মিথের মতোই তাকে আবেগ ছুঁয়ে গেল বারবার। অন্য দুজনের মতোই তার কণ্ঠে অনুতাপের সুর।
“মনের কোণে ছোট্ট আশার আলো আছে যে একদিন হয়ত আবার দেশের হয়ে খেলার সম্মান আমাকে দেওয়া হবে। তবে আমি এই সত্যও মেনে নিয়েছি যে এটা আর কখনও নাও হতে পারে। সামনের সময়গুলোতে আমি ভেবে দেখব কিভাবে এটা হয়ে গেল এবং ডুব দেব আত্মানুসন্ধানে। যদিও এই মুহূর্তে আমি জানি না যে কিভাবে সেটি করব। তবে আমাকে আমূল বদলে ফেলতে আমি পরামর্শ চাইব ও বিশেষজ্ঞ মতামত নেব।”
স্মিথ-ব্যানক্রফটের মতো ওয়ার্নারও ক্ষমা চাইলেন আবেগতাড়িত কণ্ঠে।
“আমি আমার পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, বিশেষ করে আমার স্ত্রী ও কন্যাদের কাছে। তোমাদের ভালোবাসা আমার কাছে যে কোনো কিছুর চেয়ে দামি। আমি জানি তোমাদের ছাড়া আমি কিছুই না। তোমাদেরকে এই অবস্থায় ফেলার জন্য আমি দুঃখিত এবং কথা দিচ্ছি আর কখনও এমন হতে দেব না।”
“যা হয়েছে, সেখানে আমার অংশের দায় আমি পুরো নিচ্ছি। আমার সম্পৃক্ততার ফলগুলোর জন্যও আমি গভীর ভাবে দুঃখিত। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে আমি ব্যর্থ হয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর মিনিট ছয়েক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ওয়ার্নার। তবে বেশি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেননি। দলের কতজন টেম্পারিংয়ের ঘটনা জানত, আগে কতবার করেছেন, দলের অন্যদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে কিনা, কিংবা তাকে বলির পাঠা বানানো হয়েছে কিনা, সবই এড়িয়ে গেছেন ওয়ার্নার। পরে টুইটারে জানিয়েছেন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও জানাবেন সময়ে। আপাতত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াগুলোই অনুসরণ করতে চান।