ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের রেলিগেশন লিগের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক। ২৪৭ রানের লক্ষ্য ২৫ বল হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে তারা।
প্রাথমিক পর্বে ৫ উইকেটে জিতেছিল কলাবাগান। সেই ম্যাচে ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ওপেনার শাহরিয়ার। অপরাজিত ১০২ রানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আশরাফুল।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কলাবাগানের। চতুর্দশ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
১৬৩ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন আশরাফুল ও তাইবুর রহমান। ১০ চারে ১১৭ বলে ৮২ রান করা তাইবুরকে ফিরিয়ে ২৯.১ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার।
শেষের দিকে ১৩ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রিয়াজুল হুদা। লিগে চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া আশরাফুল অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। তার ১৩৭ বলের ইনিংসটি গড়া ৮ চার ও দুই ছক্কায়।
৪৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের সেরা বোলার সৌম্য।
দ্বিতীয় উইকেটে সালমান হোসেনের সঙ্গে শাহরিয়ারের ১৭২ রানের দারুণ জুটি জয়ের পথে নিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংককে। লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফিরেন শাহরিয়ার। ১৪২ বলে খেলা তার ১০৯ রানের ইনিংসে ১৩টি চারের পাশে দুটি ছক্কা।
দ্রুত রান তোলা সালমানকে বিদায় করেন নাহিদ হাসান। ৯৩ বলে খেলা সালমানের ৮৩ রানের ইনিংস গড়া ১১ চারে। শাহরিয়ারের পর ধীমান ঘোষের উইকেটও তুলে নেন আশরাফুল।
জাহিদ জাভেদকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন শামসুল ইসলাম।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের পয়েন্ট হল ১০। এবারের আসরে দশম হারের স্বাদ পাওয়া তলানির দল কলাবাগানের পয়েন্ট ৪। তিন দলের রেলিগেশন লিগের আরেক দল ব্রাদার্স ইউনিয়নের পয়েন্ট ৮।
রেলিগেশন লিগের সেরা দল টিকে থাকবে প্রিমিয়ার লিগে। বাকি দুই দল নেমে যাবে প্রথম বিভাগে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র:
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র: ৫০ ওভারে ২৪৬/৫ (আসির ৪, ওয়ালিউল ৭, আশরাফুল ১০৩*, জামিউল ৯, তাইবুর ৮২, মাহবুবুল ১, রিয়াজুল ২৭*; শফিউল ১/৪৪, আল আমিন ১/৪৭, রাজ্জাক ১/২৪, সৌম্য ২/৪৬, আহসান ০/৪৭, শাহবাজ ০/৩১)
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৫.৫ ওভারে ২৫০/৪ (শাহরিয়ার ১০৯, সৌম্য ২৪, সালমান ৮৩, শামসুল ৯*, ধীমান ৬, জাভেদ ৬*; নাহিদ ২/৫২, মাহমুদুল ০/৪৫, রিয়াজুল ০/২৪, নাবিল ০/৪৫, ফারুক ০/১৮, জামিউল ০/২৩, আশরাফুল ২/৩৮)
ফল: অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাহরিয়ার নাফীস