ছোট ছোট অবদানেই খুশি মিরাজ

‘মিরাজ কেন ছক্কা মারতে গেল, এত বড় মাঠে ও ছক্কা মারতে পারবে?’-শ্রীলঙ্কায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট যেদিন বললেন এই কথা, তার কদিন পরই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মেহেদী হাসান মিরাজ মারলেন বিশাল এক ছক্কা। ছোটো কিন্তু দারুণ কার্যকর ইনিংসে জানান দিলেন নিজের সামর্থ্যেরও। ব্যাটি অর্ডারে ওপরে সুযোগ তবু হয়তো মিলবে না। সেটা নিয়ে আক্ষেপও নেই মিরাজের। অবদান রাখতে চান নিজের জায়গা থেকেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2018, 12:37 PM
Updated : 25 March 2018, 12:37 PM

অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে খাটি অলরাউন্ডার ছিলেন মিরাজ। যুব ওয়ানডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি, রান সংগ্রহের রেকর্ডে আছেন নয় নম্বরে। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বোলিংয়ে অভাবিত সাফল্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর জাতীয় দলে তার মূল পরিচয় হয়ে গেছে অফ স্পিনার। ব্যাটিংয়ে নিচের দিকে নামায় সেভাবে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ পাননি।

ব্যাটিংয়ে উন্নতির ছাপ অবশ্য তার পরও রেখেছেন। আট নম্বরে নেমেই টেস্টে ও ওয়ানডেতে ফিফটি করেছেন। প্রশ্ন ছিল তার টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য নিয়ে। তবে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ৭ বলে ১৯ রানের ইনিংসে কিছুটা উত্তর দিয়েছেন। দেখিয়েছেন, চোখ ধাঁধানো কিছু না হলেও প্রয়োজনে শেষের দাবি মেটাতে পারেন।

ওই ইনিংসই মিরাজকে এখন জোগাচ্ছে আত্মবিশ্বাস। জাতীয় দলের বাস্তবতা বোঝেন বলেই আক্ষেপ নেই ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে সুযোগ না পাওয়ায়। রোববার দুপুরে বিসিবি একাডেমির জিমে ঘাম ঝরানোর ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, নিজের কাজটা করে যেতে চান ঠিকঠাক।

“আসলে আমার আক্ষেপ নাই। জাতীয় দলে আমার চেয়ে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান আছে। সামনে আমার সুযোগ আসবে। আক্ষেপের কিছু নেই। একটা সময় হয়ত সিনিয়র হব, দায়িত্ব বাড়বে। এখন যেখানে আছি, সেটি টিম কম্বিনেশনের কারণেই।”

“শেষে দিকে অনেক সময় ১০ বা ১৫ রান দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমি সেটাই করে যেতে চাই। ভারতের বিপক্ষে ইনিংসটি (ফাইনালে) অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। আশা করি সেই আত্মবিশ্বাস সামনে কাজে লাগাতে পারব।”