নিউল্যান্ডসে প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। একাদশ সেঞ্চুরি পাওয়া এলগার ১২১ ও কাগিসো রাবাদা ৬ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। রানের খাতা খোলার আগেই এইডেন মারক্রামকে ফিরিয়ে দেন জশ হেইজেলউড। এলগার ও হাশিম আমলার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় স্বাগতিকরা।
দারুণ এক বাউন্সারে আমলাকে চমকে দিয়ে জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন প্যাট কামিন্স। তিনটি চারে ৩১ রান করা আমলা ধরা পড়েন ফাইন লেগে।
এসেই শট খেলতে শুরু করেন ডি ভিলিয়ার্স। এলগারের সঙ্গে তার জুটি দ্রুত জমে যায়। দুই জনের ১২৮ রানের জুটিতে ২ উইকেটে ২২০ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই উইকেট দিয়ে ধসের শুরু। ফাফ দু প্লেসি, টেম্বা বাভুমা, কুইন্টন ডি কক, ভার্নন ফিল্যান্ডার, কেশভ মহরাজদের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ধসে বাঁধ দিতে পারেননি কেউই। ২৫৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরানোর পর দু প্লেসি, বাভুমা ও ডি কককে বিদায় করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এলোমেলো করে দেন কামিন্স। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। হেইজেউলউড ২ উইকেট নেন ৩৭ রানে।
আগে দুইবার আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের কৃতিত্ব দেখানো এলগার এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন। ২৫৩ বলের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ১৭টি চার ও একটি ছক্কা। তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেতে তার দিকেই তাকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২৬৬/৮ (এলগার ১২১*, মারক্রাম ০, আমলা ৩১, ডি ভিলিয়ার্স ৬৪, দু প্লেসি ৫, বাভুমা ১, ডি কক ৩, ফিল্যান্ডার ৮, মহারাজ ৩, রাবাদা ৬*; স্টার্ক ১/৮১, হেইজেলউড ২/৩৭, লায়ান ০/৩৯, কামিন্স ৪/৬৪, মার্শ ১/২৬, স্মিথ ০/০)