ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রাথমিক পর্বে সবচেয়ে বড় চমক ছিল খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। এই দলকে প্রথমবারের মতো সুপার সিক্সে নিয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান অশোক মেনারিয়ার। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
Published : 20 Mar 2018, 11:01 PM
মেনারিয়ার পরে আছেন আব্দুল মজিদ, নাঈম ইসলাম, আল আমিন জুনিয়র ও এনামুল হক।
মেনারিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে সবচেয়ে বেশি- সাতটি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৮১.৪২ গড়ে করেন ৫৭০ রান। তার সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৩।
লিগের একাদশ রাউন্ডে মজিদের সামনে সুযোগ ছিল মেনারিয়াকে পিছনে ফেলার। কিন্তু ছন্দে থাকা এই ওপেনার পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মজিদ ৫৩.৬০ গড়ে করেন ৫৩৬ রান। তার সেরা ১১০।
রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ৫৮.৭৭ গড়ে করেছেন ৫২৯ রান। তার সেরা অপরাজিত ১১৬।
মাত্র ৫ রানের জন্য প্রাথমিক পর্বে পাঁচশ রানে যেতে পারেননি আল আমিন জুনিয়র। প্রথম পর্বেই থেমে গেছে তার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। তাই ৪৫ গড়ে ৪৯৫ রানেই থেমে যেতে হল আল আমিন জুনিয়রকে। তার সেরা ১১০।
দল বদলে এনামুলকে নিয়েছিল খেলাঘর। পেসার হাসান মাহমুদকে দিয়ে তাকে দলে নিয়ে আসে আবাহনী। দলকে শীর্ষে নিয়ে যেতে এনামুলের রয়েছে বড় অবদান। ৪৯ গড়ে ৪৯০ রান করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তার সেরা ১১৬।
লিগে সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরি এসেছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাট থেকে। কলাবাগান ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটসম্যান ৪৬ গড়ে করেন ৪৬০ রান। তার চেয়ে মাত্র ২ রান কম দুটি সেঞ্চুরি করা আবাহনীর নাজমুল ইসলাম শান্তর। চলতি আসরের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের ইনিংস (১৫০*) খেলেন বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
মাত্র ৫ ইনিংস খেলেই লিটন দাস করেন ৩৮৬ রান। প্রাইম দোলেশ্বরের এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি। লিটনের গড় ৯৬.৫০, সেরা ১৪৩*।
প্রাথমিক পর্বের সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যান:
নাম/দল | ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ | গড় | সেঞ্চুরি/ফিফটি |
অশোক মেনারিয়া/খেলাঘর | ১১ | ৫৭০ | ১১৩* | ৮১.৪২ | ১/৬ |
আব্দুল মজিদ/রূপগঞ্জ | ১১ | ৫৩৬ | ১১০ | ৫৩.৬০ | ১/৪ |
নাঈম ইসলাম/রূপগঞ্জ | ১১ | ৫২৯ | ১১৬* | ৫৮.৭৭ | ১/৪ |
আল আমিন জুনিয়র/প্রাইম ব্যাংক | ১১ | ৪৯৫ | ১১০ | ৪৫.০০ | ১/৩ |
এনামুল হক/আবাহনী | ১১ | ৪৯০ | ১১৬ | ৪৯.০০ | ১/৩ |