রুবেল-সৌম্যদের নিয়ে গর্বিত সাকিব

ম্যাচ হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। কিন্তু রুবেল হোসেনের এক ওভারে ভারত চলে এলো সমতায়। সৌম্য সরকারের শেষ ওভারে ছিনিয়ে নিল অসাধারণ জয়। বাংলাদেশের মুঠো থেকে ফসকে গেল ম্যাচ। তবে দুই বোলারের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই সাকিব আল হাসানের। বরং বোলারদের সবাইকে নিয়েই গর্বিত অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2018, 07:24 PM
Updated : 19 March 2018, 05:39 AM

২ ওভারে ৩৪ রানের কঠিন সমীকরণ ভারত মিলিয়েছে রুবেল ও সৌম্যর বোলিংয়ে। অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে দলতে জিতিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। ১৯তম ওভারে রুবেলের বোলিংয়ে নিয়েছেন ২২ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সৌম্যর প্রথম ৫ বল থেকে এসেছে ৭। শেষ বলে ছক্কায় ভারতকে জিতিয়েছেন কার্তিক।

শেষ দুই ওভারের আগে ৩ ওভারের ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। কিন্তু ১৮তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের অসাধারণ বোলিংয়ে আসে মাত্র ১ রান। উইকেটও যায় একটি।

এরপর রুবেলকে ১৯তম ওভার আর সৌম্যকে শেষ ওভার করানোর ব্যাখ্যা ম্যাচ শেষে দিলেন সাকিব।

“মুস্তাফিজ সেই অসাধারণ ওভারটি করার পর, ২ ওভারে ওদের ৩৪ দরকার ছিল। রুবেল আজ ছিল তখনও পর্যন্ত আমাদের সেরা বোলার। ৩ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করেছিল। মাত্র ১৩ রান দিয়েছিল। ওর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। অনেকবারই শেষের দিকে দলের জন্য কাজটা করে দিয়েছে ও।”

“আমি ভাবছিলাম যে রুবেল বাজে বল করলেও হয়ত ১৫ রান দেবে। শেষ ওভারে সৌম্যর জন্য ২০ রান থাকবে, হয়ত বেশ আত্মবিশ্বাসী থাকবে। এজন্যই রুবেলকে ১৯তম ওভারে এনেছিলাম। আজ হয়নি।”

অনিয়মিত বোলার হয়েও দলের প্রয়োজনে সৌম্য যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে মুগ্ধ অধিনায়ক। জানালেন শেষ বলের আগে খুব বেশি নিদের্শনা দিয়ে ভারাক্রান্ত করতে চাননি সৌম্যকে।

“আমার দিক থেকে কোনো নির্দেশনা ছিল না। এসব মুহূর্তে আমি মনে করি কিছু না বলাই ভালো। আমি শুধু ওকে বলেছিলাম, একটু সময় নিতে। কারণ তাড়াহুড়ো করলে যেটা করার কথা সেটা করা হয়ে ওঠে না। সময় নিতে বলেছিলাম। আজকে দিনে ওর যে ৩ ওভার, অনেক দিনে অনেকের চার ওভারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

শেষ পর্যন্ত জয় আসেনি বলে হতাশা আছে অধিনায়কের। তবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন না কাউকে।

“সৌম্য এবং মুস্তাফিজের শেষ সময়ের স্পেলই আমাদেরকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। রুবেল প্রথম ৩ ওভারে খুব ভালো বল করেছে। সবাই ভালো করেছে। কাউকে দোষ আমি দিতে পারব না। হয়ত দুটি ওভার খারাপ হয়েছে পুরো ম্যাচে, মিরাজের একটি আর রুবেলের ওই এভার। এটা হতেই পারে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। আমি শুধু বলতে পারি, আমি পুরো দলের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে গর্বিত।