আগের ম্যাচগুলোতে সাকিব না থাকায় বাংলাদেশের ঘাটতির জায়গাটা ফুটে উঠেছিল স্পষ্ট। দল হিমশিম খাচ্ছিল একাদশের কম্বিনেশন কি রাখতে। ৫ জন স্পেশালিস্ট বোলার খেলাতে একজন ব্যাটসম্যান কম খেলাতে হচ্ছে দলকে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতায় সেটা ভালো করেই জানেন হাথুরুসিংহে। খেয়াল করেছেন প্রতিপক্ষ কোচ হিসেবেও।
সাকিব ফেরায় সেই ঘাটতির জায়গা পূরণ হয়ে যাচ্ছে, হাথুরুসিংহে সেটা বলছেন অকপটেই। জানিয়ে রাখলেন, সাকিবের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে শ্রীলঙ্কা।
“আমাদের আসলে খুব বেশি কিছু করার নেই। সে দারুণ একজন ক্রিকেটার। আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি সাকিব খেলবে ধরে নিয়েই। সাকিব খেললে অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সুবিধা। কারণ তারা ভিন্ন কম্বিনেশন নিয়ে খেলতে পারবে। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান বা বোলার খেলাতে পারবে।”
“আমরা জানি, সাকিব খেললে তাদের এটা বাড়তি সুবিধা। আমরা আমাদের কাজ নিয়ে ভাবছি। কিভাবে তার চার ওভার বোলিং সামলাব কিংবা ব্যাটিংয়ে কিভাবে আটকাব।”
যে যদি যথেষ্ট ফিট থাকে, তাহলে এটা মরিয়া পদক্ষেপ নয়। হয়ত তাদের ভাগ্য ভালো যে, সময়মতো সাকিব ফিট হয়ে উঠেছে। তবে যদি ফিট না থাকে এবং ট্রেনিংয়ে ফেরার আগেই ফেরানো হয়, তাহলে একমত হতেই হবে (যে এটি মরিয়া প্রচেষ্টা)।”
অনেকের মনে আবার উঁকি দিচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের কথাও। হয়ত সাকিব আসলে খেলার মত ফিট নন। তবে মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে শ্রীলঙ্কাকে চাপে রাখতে, মনোযোগ সরিয়ে নিতেই তাকে পাঠানো হচ্ছে শ্রীলঙ্কায়!
হাথুরুসিংহে অবশ্য তেমন কিছুর মানে দেখছেন না। সাম্প্রতিক সময়ে এত ম্যাচ খেলেছে এই দুই দল, পরস্পরকে এত গভীরভাবে জানে, এই লড়াইয়ে তাই চমকানোর উপকরণ কিছু পাচ্ছেন না লঙ্কান কোচ।
“সত্যি বলতে, এই দুই দলের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের মতো বেশি কিছু নেই। কিংবা কারও হাতে এমন কোনো ট্রাম্প কার্ড নেই যে চমকে দিতে পারে। একটা কথাই বলতে পারি, যেটি আগে বললাম। যদি ফিট হওয়ার আগেই সাকিবকে আনা হয়, তাহলে সেটি মরিয়া প্রচেষ্টা। যদি সে ফিট হয়ে থাকে, তাহলে এটা তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা। কারণ সে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার এবং আমরা সবাই জানি, সে কতটা ভালো ক্রিকেটার।”