সাকিবকে নিয়ে সংশয় দেখছেন না কোচ

আগের রাতে ম্যাচ খেলায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন নেই। সকালটা তাই ছিল অনেকটাই ম্যাড়মেড়ে। বিসিবির একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হঠাৎই যেন ছড়িয়ে দিল উত্তেজনার দাবানল। বাংলাদেশ দলে যোগ দিচ্ছেন সাকিব আল হাসান! জমা হতে থাকল প্রশ্নের ভিড়ও। তবে প্রশ্নগুলো উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2018, 10:40 AM
Updated : 15 March 2018, 10:40 AM

কদিন আগেই একবার শ্রীলঙ্কায় ঘুরে গেছেন সাকিব। এসেছিলেন দলকে অনুপ্রাণিত করতে। এক দিন পর কলম্বো থেকেই আঙুলের বিশেষজ্ঞ দেখাতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরে দেশে ফিরেছেন। টুকটাক অনুশীলনও শুরু করেছেন। কিন্তু টুর্নামেন্টের মাঝখানে আচমকা দলে ফেরা অনেকের কাছেই এসেছে বড় বিস্ময় হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ দলের কাছে এটি কোনো চমক নয় বলেই দাবি কোচের। বিসিবি সাকিবের ফেরার খবর জানানোর ঘণ্টাখানেক পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ওয়ালশ জানালেন, তারা সাকিবকে ফিরে পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতই ছিলেন।

“টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই আমরা আশা করছিলাম যে ওকে পাব। এখানে এসেছিলও, খেলতে পারেনি। তবে দলের অংশই ছিল। আমরা জানতাম যদি চোট কাটিয়ে উঠতে পারে, যদি সুযোগটা আসে, যে কোনো সময়ই সাকিব ফিরবে। ফিট সাকিবকে দলে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুতই ছিলাম। সবাই জানত। এটা নিয়ে বেশি ভাবনার কিছু দেখছি না।”

কোচের দিক থেকে হয়তো ভাবনার কিছু নেই, তবে প্রশ্নেরা তাতে থেমে থাকছে না। বিসিবি জানিয়েছে, সাকিব চোট কাটিয়ে উঠেছেন বলেই তাকে ফেরানো হয়েছে। এরপরও থেকে যায় কৌতুহল। আসলেই কতটা ফিট সাকিব। নাকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচ জিততে মরিয়া বাংলাদেশ চোট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই উড়িয়ে আনছে সাকিবকে?

দল যে সাকিবের অভাব তীব্রভাবে বোধ করছিল, এটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে প্রতিটি ম্যাচেই। কম্বিনেশন সাজানোই ছিল কঠিন। ৫ জন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলতে নেমেছে দল, তাতে ব্যাটসম্যান থেকে গেছে একজন কম। ছয় নম্বরে সাব্বির রহমানের পর কার্যকর ব্যাটিং করার মত কাউকে জায়গা দিতে পারছিল না দল। সেই তাড়না থেকে সাকিবের ফেরাটা তাড়াহুড়ো করে হচ্ছে না তো?

ওয়ালশ নিশ্চিত করলেন, কেবল পুরো ফিট দেখতে পেলেই একাদশে বিবেচনা করা হবে সাকিবকে।

“আর যে কোনো ক্রিকেটারের মতোই পর্যালোচনা করতে হবে ওর অবস্থা। দেখতে হবে যে খেলার মত যথেষ্ট ফিট কিনা। যদি ফিট থাকে, তাহলে ওর মত একজন ক্রিকেটারকে বিবেচনা করতেই হবে। ওকে দেখার পরই আমরা বলতে পারব খেলতে পারবে কিনা।”

“এর আগেও ও এসেছিল দলকে অনুপ্রাণিত করতে। আমরা আশা করছিলাম যে সে ফিট হয়ে আবার খেলতে আসতে পারবে। ওর চোট পরীক্ষা করানো হয়েছে, নেট সেশনও করেছে। এখানে আসার পর আবার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।”

যদি সাকিব খেলেন, সেক্ষেত্রেও থাকবে কিছু প্রশ্ন। নিয়মিত অধিনায়ক ফিরলে হয়তো নেতৃত্বও দেবেন তিনি। সেক্ষেত্রে দলের ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা। হুট করে এসে এই টুর্নামেন্টে দলের পরিকল্পনা, ভাষা, এসবের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন। যদিও সাকিব নতুন কেউ নন, তবু কিছু সংশয় জাগতে পারে। ওয়ালশ যদিও কোনোরকম সংশয়ের কিছুই দেখছেন না।

“সংশয়ের জায়গা নেই। সে যদি খেলার মতো অবস্থায় থাকে, তাহলে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব দলের জন্য কোনটি ভালো হবে। যেটাই করি না কেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভালোর স্বার্থে করা হবে। কেবল ফিট হলেই ওকে বিবেচনা করা হবে। সংশয়ের কিছু নেই।”