ইতিহাস গড়ে জিতল বাংলাদেশ

শুরুতে পথ দেখালেন লিটন দাস, তামিম ইকবাল। শেষ করলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2018, 01:08 PM
Updated : 11 March 2018, 12:51 PM

রেকর্ড রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয়

ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারানোর ম্যাচে ধরা দিল দুটি রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণে করল নিজেদের সর্বোচ্চ রান।

টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো দুইশ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান ছাড়িয়ে গেল দুই বল বাকি থাকতে।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার ৫ উইকেটে করা ২১৫ রান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। আগের সেরা ছিল ১৯৩। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গত ফেব্রুয়ারিতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে সেই রান করে হেরেছিল তারা।

প্রথমবারের মতো দুইশ রান করা বাংলাদেশ স্বাভাবিকভাবেই প্রথমবারের মতো জিতল দুইশ ছাড়ানো রান তাড়া করে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজর বিপক্ষে। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ১৬৪ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ২১৪/৬ (গুনাথিলাকা ২৬, মেন্ডিস ৫৭, পেরেরা ৭৪, শানাকা ০, চান্দিমাল ২, থারাঙ্গা ৩২*, থিসারা ০, জিবন ৬*; তাসকিন ১/৪০, মুস্তাফিজ ৩/৪৮, রুবেল ০/৪৫, মিরাজ ০/৩১, নাজমুল ০/২০, সৌম্য ০/১১, মাহমুদউল্লাহ ২/১৫) 

বাংলাদেশ: ১৯.৪ ওভারে ২১৫/৫ (তামিম ৪৭, লিটন ৪৩, সৌম্য ২৪, মুশফিক ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ২০, সাব্বির ০, মিরাজ ০*; চামিরা ১/৪৪, দনঞ্জয়া ০/৩৬, প্রদিপ ২/৩৭, গুনাথিলাকা ০/২২, থিসারা ১/৩৬, অজন্তা ০/২৫, শানাকা ০/১২)

ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

রান আউট সাব্বির 

দ্রুত ফিরলেন সাব্বির রহমান। অসম্ভব একটি রান নিতে গিয়ে রান আউট হলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। 
 
২ বলে শূন্য রানে সাব্বির ফেরার সময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০ বলে ১৮ রান।

বাংলাদেশের দেড়শর পর আউট সৌম্য

এক প্রান্তে ঝড় তুলেছেন মুশফিকুর রহিম। আরেক প্রান্তে টাইমিং করতে ভুগছিলেন সৌম্য সরকার। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন রান তোলার মরিয়া চেষ্টায়।

নুয়ান প্রদিপের বুক উচ্চতার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য। ২২ বলে তিনি করেন ২৪ রান।

সৌম্য ফেরার সময় ১৪.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫১/২।

সৌম্য মুশফিক জুটির পঞ্চাশ

দ্রুত রান তুলছেন মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকার। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুই জনে ২৭ বলে গড়েছেন ৫০ রানের জুটি।

মুশফিক ১৫ বলে তুলেছেন ৩০ রান। সৌম্য ২১ বলে ২৪। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫০/২।

তামিমকে ফেরালেন থিসারা

দশম ওভারে দলকে একশ রানে নিয়ে ফিরলেন তামিম ইকবাল। সহজ ফিরতি ক্যাচ দিলেন থিসারা পেরেরাকে।

লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন তামিম। ঠিক মতো পারেননি। উঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন থিসারা।

২৯ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন তামিম।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/২। ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

পাওয়ার প্লেতে ঝড়
 
বড় লক্ষ্য তাড়ায় যে শুরু দরকার ছিল বাংলাদেশকে তা এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ।
 
প্রথম ছয় ওভারে এক উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ৭৪ রান। এতে সবচেয়ে বড় অবদান লিটনের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯ বল করেন ৪৩ রান। পাওয়ার প্লেতে ১৬ বলে তামিম করেন ২৭ রান।

ঝড় তুলে ফিরলেন লিটন
 
সৌম্য সরকারের জায়গায় ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তুলে ফিরেছেন লিটন দাস। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে এই তরুণ পড়েন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। 
 
স্টাম্পে থাকা নুয়ান প্রদিপের স্লোয়ার বুঝতে পারেননি লিটন। লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় হন এলবিডব্লিউ। আম্পায়ার স্বাগতিকদের জোরালো আবেদনে সাড়া দিলে তামিম ইকবালের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়ে ফিরেন লিটন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৯ বলে ৫টি ছক্কা ও দুটি চারে করেন ৪৩ রান।

তামিম, লিটন জুটির পঞ্চাশ
 
দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। সৌম্য সরকারের জায়গায় লিটনকে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয়নি। দুই ব্যাটসম্যানের তাণ্ডবে ৪.১ ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয় দল ও উদ্বোধনী জুটির রান।

দুই ব্যাটসম্যান খেলছেন সমান তালে। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশ রানের জুটিতে তামিমের অবদান ১৩ বলে ২৫। লিটনের ১২ বলে ২৩।

বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য

উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন কুসল মেন্ডিস। মাঝে ঝড় তুললেন কুসল পেরেরা। টর্নেডো ইনিংসে শেষ করলেন উপুল থারাঙ্গা। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

৬ উইকেটে ২১৪ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ৩০ বলে ৫৭ রান করেন মেন্ডিস। পেরেরা করেন ৪৮ বলে ৭৪ রান। ছয় নম্বরে নেমে ১৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা।

৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২ উইকেট নেন ১৫ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ২১৪/৬ (গুনাথিলাকা ২৬, মেন্ডিস ৭৪, পেরেরা ৬২, শানাকা ০, চান্দিমাল ২, থারাঙ্গা ৩২*, থিসারা ০, জিবন ৬*; তাসকিন ১/৪০, মুস্তাফিজ ৩/৪৮, রুবেল ০/৪৫, মিরাজ ০/৩১, নাজমুল ০/২০, সৌম্য ০/১১, মাহমুদউল্লাহ ২/১৫) 

মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার থিসারা
 
গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেয়েছেন থিসারা পেরেরা। তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। 
 
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বল উড়াতে চেয়েছিলেন থিসারা। টাইমিং করতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় ডিপ স্কয়ার লেগে। কোনো ভুল করেননি ফিল্ডার নাজমুল ইসলাম অপু।

পেরেরাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
 
ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই বোলার ফিরিয়ে দিয়েছেন কুসল পেরেরাকে।
 
কাটার বুঝতে পারেননি পেরেরা। মিড উইকেট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। টাইমিং করতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। সহজ ক্যাচ গ্লাভসে নেন মুশফিকুর রহিম। 
 
৪৮ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৪ রান করে ফিরেন পেরেরা।

চান্দিমালকে ফেরালেন তাসকিন
 
প্রথম দুই ওভারে খরুচে বোলিং করা তাসকিন আহমেদ আঘাত হানলেন বোলিংয়ে ফিরে। বিদায় করলেন দিনেশ চান্দিমালকে।
 
মিড অফের ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠাতে চেয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক। সফল হননি। লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান। ম্যাচে তার তৃতীয় ক্যাচ।
 
৪ বলে ২ রান করে ফিরেন চান্দিমাল। ১৫ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ১৫০/৪।

কুসল পেরেরার টানা দ্বিতীয় ফিফটি

সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন কুসল পেরেরা। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে শ্রীলঙ্কা।

৩৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন পেরেরা। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার ও একটি ছক্কা।

মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শিকার শানাকা
 
বোলিংয়ে এসে জোড়া আঘাত হানলেন মাহমুদউল্লাহ। কুসল মেন্ডিসের পর বিদায় করলেন দাসুন শানাকাকে।
 
অফ স্পিনারকে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন শানাকা। টাইমিং করতে পারেননি। ধরা পড়েন সাব্বির রহমানের হাতে।

মাহমুদউল্লাহ ফেরালেন মেন্ডিসকে

বোলিংয়ে এসে প্রথম বলে ছক্কা হজম করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক পরের বলে নেন প্রতিশোধ। ফিরিয়ে দেন কুসল মেন্ডিসকে।

প্রথম বলটা নিজের জোনে পেয়েছিলেন মেন্ডিস। মিড উইকেট দিয়ে মাহমুদউল্লাহকে উড়ান তিনি। পরের বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে ডিপ উইকেটে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন।৩০ বলে ৫৭ রান করে ফিরেন মেন্ডিস।  

মেন্ডিসের ফিফটি
 
শুরু থেকে ঝড় তোলা কুসল মেন্ডিস পেলেন আরেকটি ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে শেষ চার ম্যাচে তার তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচে তার টানা তৃতীয় ফিফটি।
 
২৬ বলে আসে মেন্ডিসের ফিফটি। এই সময়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাঁকান চারটি ছক্কা ও দুটি চার।

দুই কুসলের জুটিতে পঞ্চাশ
 
টানা দুই উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। দানুশকা গুনাথিলাকার সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ার পর অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে কুসল পেরেরার সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি উপহার দিয়েছেন কুসল মেন্ডিস।
 
দ্বিতীয় উইকেটে দুই কুসলের জুটি পঞ্চাশ ছোঁয় ৩৬ বলে। তাদের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে ছুটেছে শ্রীলঙ্কা।

পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা ৭০/১
 
পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
 
৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭০/১। ফিরে গেছেন দানুশকা গুনাথিলাকা। এক প্রান্তে ঝড় তুলেছেন কুসল মেন্ডিস। শুরুতে শান্ত ভারত ম্যাচে জয়ের নায়ক কুসল পেরেরা। 
 
ঝড় বয়ে গেছে তাসকিন আহমেদের ওপর দিয়ে। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ভালো বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন।

গুনাথিলাকার স্টাম্প ওড়ালেন মুস্তাফিজ

প্রথম আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাহাতি এই পেসার উড়িয়ে দিয়েছেন দানুশকা গুনাথিলাকার স্টাম্প।

স্লোয়ার কাটার বুঝতেই পারেননি গুনাথিলাকা। আগে ভাগে শট খেলে ফেলেন। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে উড়িয় দেন স্টাম্প।

১৯ বলে ২৬ রান করে ফিরেন গুনাথিলাকা। ভাঙে ৪.৩ ওভার স্থায়ী ৫৬ রানের জুটি। ক্রিজে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গী কুসল পেরেরা।

একই একাদশ নিয়ে শ্রীলঙ্কা
 
ভারতের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জেতা একাদশ ধরে রেখেছে শ্রীলঙ্কা।
 
শ্রীলঙ্কা দল: দানুশকা গুনাথিলাকা, কুসল মেন্ডিস, কুসল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল, উপুল থারাঙ্গা, দাসুন শানাকা, থিসারা পেরেরা, জিবন মেন্ডিস, আকিলা দনঞ্জয়া, দুশমন্থ চামিরা, নুয়ান প্রদিপ।

বাংলাদেশের একাদশ অপরিবর্তিত
 
ভারতের কাছে প্রথম ম্যাচে হারা একাদশের ওপরই আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টিতে একই একাদশ নিয়ে খেলছে তারা। দলে পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারের সঙ্গে আছেন ছয় বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
 
টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাহমুদউল্লাহ। অনুমিতভাবে বাংলাদেশের অধিনায়ক টস জিতে নিলেন ফিল্ডিং। আগের দুই ম্যাচেও টস জয়ী অধিনায়করা প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন।

বৃষ্টি থেমেছে কলম্বোয়
 
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে থেমেছে বৃষ্টি। সরানো হয়েছে সব কাভার। মাঠে গা গরম করছে দুই দল।

বৃষ্টিতে টসে দেরি
 
বৃষ্টির বাধায় নির্ধারণী সময়ে টস হয়নি। দুপুরের দিকে ঘণ্টাখানেক বেশ ভারী বর্ষণ হয়। পরে আবহাওয়া ভালো হলে কাভার সরানো হয়। তবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আবার টিপটিপ বৃষ্টি নামে। সেন্টার উইকেট ঢাকা রয়েছে হয়েছে কাভারে।
  

একটি জয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
একটি ভালো ম্যাচ। একটি জয়। তাহলেই আর থাকবে না ভয়। কেটে যাবে সংশয়। শ্রীলঙ্কায় আসার পর প্রথম অনুশীলন সেশনে এই কথা বলেছিলেন তামিম ইকবাল। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও সেই জয় অধরা। ম্যাচ শেষে সেই একই কথা শোনা যায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও।
কখনও বোলিং ভালো হচ্ছে না তো কখনও ব্যাটিং। সব বিভাগ এক সঙ্গে জ্বলে উঠছে না বাংলাদেশের। একই ভুলের চক্কর তো আছেই। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অতিরিক্ত ডট বলের সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ফুটে উঠে ভারতের বিপক্ষে। ২০ ওভারের প্রায় অর্ধেক বল থেকেই রান করতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা।
মাহমুদউল্লাহর ধারণা, সেই ডট বলগুলির জন্ম নিজেদের মনে সংশয় থেকেই। টানা হারের মধ্যে থাকায় দলের আত্মবিশ্বাসও তলানিতে। সেই বিশ্বাস ফিরে পেতে অধিনায়ক তাকিয়ে একটি ভালো দিনের দিকে।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহর দল। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।  
অন্তত ১৭০-১৮০ রান চায় বাংলাদেশ
ম্যাচ হারার পর ১৫-২০ রান কম হওয়ার আক্ষেপ বাংলাদেশ দলে অনেকবারই শোনা গেছে। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষৈ অপ্রাপ্তির রানটুকুর পরিধি বাড়ল আরেকটু। তাসকিন আহমেদের মতে, ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২৫-৩০ রান কম করেছে দল। এই ধরনের উইকেটে জয়ের জন্য অন্তত ১৭০-১৮০ রান করা ছাড়া উপায় দেখছেন না এই পেসার।