ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। মাঝারি পুঁজি নিয়ে লড়াই করেছে বোলাররা। কিন্তু ধাওয়ানের ফিফটিতে সহজেই ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2018, 01:02 PM
Updated : 8 March 2018, 05:51 PM

হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

টসের সময় ভাগ্যকে পাশে পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা পারেননি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে। মোট বলের প্রায় অর্ধেক ৫৫টি ডট বল খেলেন তারা! লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত মিলে ৮ উইকেটে ১৩৯ রানের পুঁজি।

১৪০ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় ভারত। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের ছয় ম্যাচে ষষ্ঠ জয়।

ছন্দে থাকা শিখর ধাওয়ান টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে দলকে পথ দেখিয়েছেন। অবদান রেখেছেন সুরেশ রায়না, মনিশ পান্ডে।

২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৮ (তামিম ১৫, সৌম্য ১৪, লিটন ৩৪, মুশফিক ১৮, মাহমুদউল্লাহ ১, সাব্বির ৩০, মিরাজ ৩, তাসকিন ৮*, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; উনাদকাট ৩/৩৮, ওয়াশিংটন ০/২৩, ঠাকুর ১/২৫ চেহেল ১/১৯, শঙ্কর ২/৩২)

ভারত: ১৮.৪ ওভারে ১৪০/৪ (রোহিত ১৭, ধাওয়ান ৫৫, পান্ত ৭, রায়না ২৮, পান্ডে ২৭*, কার্তিক ২*; মুস্তাফিজ ১/৩১, তাসকিন ১/২৮, রুবেল ২/২৪, মিরাজ ০/২১, সৌম্য ০/৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১১, নাজমুল ০/১৫)

তাসকিনের শিকার ধাওয়ান

প্রথম দুই ওভারে খরুচে বোলিং করা তাসকিন আহমেদ তৃতীয় ওভারে পেলেন সাফল্য। ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে।

অফ স্টাম্পের ফুল লেংথ বল উড়াতে চেয়েছিলেন ধাওয়ান। টাইমিং করতে পারেননি। বল উঠে যায় আকাশে। কিছুটা এগিয়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নেন লিটন দাস। ৪৩ বলে ৫৫ রান করে ফিরে যান ধাওয়ান।

১৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১২৬/৪। ক্রিজে মনিশ পান্ডের সঙ্গী দিনেশ কার্তিক।

রুবেলের দ্বিতীয় শিকার রায়না

বোলিংয়ে ফিরে সাফল্য পেলেন রুবেল হোসেন। ডানহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন সুরেশ রায়নাকে।

শর্ট বলে কখনও খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন রায়না। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে শর্ট বলেই ফেরান রুবেল। শরীর সোজা আসা বলে স্কয়ার লেগে মেহেদী হাসান মিরাজকে সহজ ক্যাচ দেন রায়না। ২৭ বলে তিনি করেন ২৮ রান।

১৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১২০/৩। ক্রিজে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গী মনিশ পান্ডে।

জীবন পেলেন ধাওয়ান

পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরের বলেই ফিরে যেতে পারতেন শিখর ধাওয়ান। বাঁহাতি ওপেনার বেঁচে যান মুশফিকুর রহিমের ব্যর্থতায়।

নাজমুল ইসলাম অপুকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ধাওয়ান। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বলে যায় মুশফিকের কাছে। কিন্তু উইকেটরক্ষক বল গ্লাভসে নিতে পারেননি।

ধাওয়ানের ফিফটি

ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন শিখর ধাওয়ান। 

৩৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ধাওয়ান। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার ও দুটি ছক্কা। 

১৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১০৮/২। ধাওয়ান ৫২ ও সুরেশ রায়না ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

রায়নাকে জীবন দিলেন মিরাজ

রিশাব পান্তকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর সুরেশ রায়নার উইকেটও পেতে পারতেন রুবেল হোসেন। কিন্তু লেগ গালিতে কঠিন ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রায়নার ফ্লিক মুঠোয় নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মিরাজ। কিন্তু ক্যাচ ছুটে যায় তার হাত থেকে। সে সময় ১ রানে ছিলেন রায়না।

রুবেল ফেরালেন পান্তকে

এক ওভার বিরতিতে আবার উইকেট পেল বাংলাদেশ। বোল্ড করে রিশাব পান্তকে ফিরিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন।

ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম বলেই আঘাত হানেন রুবেল। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল তাড়ার চেষ্টায় স্টাম্পে টেনে আনেন পান্ত। ৮ বলে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন ৭ রান।

৫.১ ওভারে পান্ত ফেরার সময় ভারতের স্কোর ৪০/২। ক্রিজে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গী সুরেশ রায়না।

প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।

শরীরের কাছের বল লেট কাট করতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান রোহিত। ১৩ বলে তিনটি চারে তিনি করেন ১৭ রান।

৩.৩ ওভারে রোহিত ফেরার সময় ভারতের স্কোর ২৮/১। ক্রিজে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গী রিশাব পান্ত।

১৪০ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

গড়ে উঠেনি তেমন কোনো জুটি। ডানা মেলতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ইনিংসও কখনও সেভাবে গতি পায়নি। তাই ভারতকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল।

২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন দাস। ছন্দে ফেরার আভাসা দেওয়া সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। দুই অঙ্কে গিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম।

৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার জয়দেব উনাদকাট। বিজয় শঙ্কর ২ উইকেট নেন ৩২ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৮ (তামিম ১৫, সৌম্য ১৪, লিটন ৩৪, মুশফিক ১৮, মাহমুদউল্লাহ ১, সাব্বির ৩০, মিরাজ ৩, তাসকিন ৮*, রুবেল ০, মুস্তাফিজ ১*; উনাদকাট ৩/৩৮, ওয়াশিংটন ০/২৩, ঠাকুর ১/২৫ চেহেল ১/১৯, শঙ্কর ২/৩২)

রান আউট রুবেল

ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফিরেছেন রুবেল হোসেন। ১ বলা খেলা এই টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান খুলতে পারেননি রানের খাতা।

শার্দুল ঠাকুরের বল লং অনে পাঠিয়ে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। সাড়া দিয়ে ছুটেছিলেন রুবেল। কিন্তু ফিল্ডারের সরাসরি থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে রান আউট হয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।

উনাদকাটের তৃতীয় শিকার সাব্বির

দেড়শ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ পেতে সাব্বির রহমানের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। জয়দেব উনাদকাটের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেছেন সাব্বির।

২৬ বলে ৩০ রান করা সাব্বির রিভিউ নেন। কিন্তু তাতে পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।

১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৪/৭। ক্রিজে তাসকিন আহমেদের সঙ্গী রুবেল হোসেন।

ফিরে গেলেন লিটন

রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন লিটন দাস। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলের ফ্লাইটেড ডেলিভারিকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরেন লং অফে ক্যাচ দিয়ে।

৩০ বলে তিনটি চারে ৩৪ রান করেন লিডন। তার বিদায়ের সময় ১৫.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/৫।

দ্রুত ফিরলেন মিরাজ

দলে ফেরা মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার বিদায় নেন ৪ বলে তিন রান করে।

জয়দেব উনাদকাটকে উড়ানোর চেষ্টায় লং অনে মনিশ পান্ডের হাতে ধরা পড়েন মিরাজ। তার বিদায়ের সময় ১৬.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১৮/৬।

ফিরে গেলেন লিটন

রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন লিটন দাস। লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলের ফ্লাইটেড ডেলিভারিকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরেন লং অফে ক্যাচ দিয়ে।

৩০ বলে তিনটি চারে ৩৪ রান করেন লিডন। তার বিদায়ের সময় ১৫.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০৭/৫।

এলেন আর গেলেন মাহমুদউল্লাহ

ক্রিজে এসে রানের জন্য ছটফট করা মাহমুদউল্লাহ বেশিক্ষণ টিকলেন না। দলকে বিপদে ফেলে ৮ বলে ১ রান করে ফিরে গেলেন অধিনায়ক।

বিজয় শঙ্করের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে কাট করে সুইপার কাভারে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ। খুঁজে পান অফ সাইডে সীমানায় থাকা একমাত্র ফিল্ডার শার্দুল ঠাকুরকে।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭২/৪। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী সাব্বির রহমান।

ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরে গেলেন মুশফিক

বিজয় শঙ্করকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। চারে নেমে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ১৪ বলে করেন ১৮ রান।

অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সরে গিয়ে চড়াও হতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের কাছে।

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৬৬। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

এক ওভারে দুবার জীবন পেলেন লিটন

বিজয় শঙ্করের এক ওভারে দুবার জীবন পেয়েছেন লিটন দাস। প্রথমবার হুক করার চেষ্টায় আকাশে তুলে দেন তিনি। মিড অফ থেকে কিছুটা এগিয়ে এসে সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সুরেশ রায়না। সে সময় ৭ রানে ছিলেন লিটন।

এক বল পর ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান লিটন। এবার কিছুটা দৌড়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নিতে ব্যর্থ হন ওয়াশিংটন সুন্দর।

৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫১/২।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ৪৪/২

পাওয়ার প্লেতে দুই বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে ৪৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টাইমিং করতে ভুগেছেন দুই ওপেনারই। প্রত্যাশিত শুরু এনে দিতে পারেননি তারা।

দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের কানা নিচ্ছে বল। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারছেন কমই। তাই পাওয়ার প্লে সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪৪।

ফিরে গেলেন তামিমও

শার্দুল ঠাকুরকে পরপর দুই বলে চার হাঁকিয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। আরেক বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকারের মতো তিনিও ধরা পড়েন শর্ট ফাইন লেগে।

তামিমের ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ সহজেই মুঠোয় নেন জয়দেব উনাদকাট। ১৬ বলে ১৫ রান করে ফিরেন তামিম।

৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৫/২। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তামিম

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তামিম ইকবাল। শার্দুল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লউর জোরালো আবদনে দেরিতে সাড়া দেন আম্পায়ার। নন স্ট্রাইকার লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন তামিম। বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করায় বদলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান তিনি।

ফিরে গেলেন সৌম্য

জয়দেব উনাদকাটকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই ওভারে ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার। শর্ট ফাইন লেগে নিচু ক্যাচ মুঠোয় নেন যুজবেন্দ্র চেহেল। ১২ বলের ইনিংসে একটি করে ছক্কা-চার হাঁকালেও খুব একটা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না সৌম্য।

১৪ রান করে বাঁহাতি ফেরার সময় ২.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী লিটন দাস।

অপরিবর্তিত ভারত দল

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারা ভারত কোনো পরিবর্তন আনেনি দলে।

ভারত দল: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, মনিশ পান্ডে, রিশাব পান্ত, দিনেশ কার্তিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, বিজয় শঙ্কর, শার্দুল ঠাকুর, জয়দেবে উনাদকাট, যুজবেন্দ্র চেহেল।

৫ বোলার, ৬ ব্যাটসম্যান নিয়ে বাংলাদেশ একাদশ

পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলার ও ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচের একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।

পেস আক্রমণে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। স্পিনে নাজমুল ইসলাম অপুর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।

একাদশে ফিরেছেন লিটন দাস। ছন্দ হারিয়ে ফেলা সাব্বির রহমান পেয়েছেন আরেকটি সুযোগ। তিনিও ফিরেছেন একাদশে।

বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

রোহিত শর্মা মনে করছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হতে থাকে আর প্রেমাদাসার উইকেট। তাই টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিং নিতেন।

জয়ে শুরুর আশায় বাংলাদেশ

সময়টা খারাপ যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের। কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের আচমকা বিদায়ের পর এখনও পাওয়া যায়নি একজন প্রধান কোচ। সেই হাথুরুসিংহের দলের বিপক্ষেই দেশের মাটিতে সিরিজে তিন সংস্করণে হার। মাঠের-ভেতর বাইরে আরও নানা বিতর্ক। এমন দুঃসময়ে যোগ হয়েছে সাকিব আল হাসানের চোট। দলের অধিনায়ক ও সেরা ক্রিকেটারকে ফিরে পাওয়া অপেক্ষা কেবল হচ্ছে দীর্ঘতর।

তবে হতাশার শেষ বিন্দু থেকেই অনেক সময় শুরু হয় নতুন আশার। নতুন কিছুর রোমাঞ্চ অনেক সময়ই সঞ্চার করে নতুন প্রাণশক্তির। ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশ দলের পুরোনো সদস্য হলেও এখনকার দায়িত্বে নতুন। জাতীয় অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহর প্রথম সফর। নতুন টুর্নামেন্টের অভিযানে এত নতুনের মেলায় তাই নতুন কিছুর হাতছানিই দেখছেন অধিনায়ক।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজে বৃহস্পতিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।

মাহমুদউল্লাহর ভাবনায় শুধুই বাংলাদেশ

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রতিপক্ষ দুই দলের কাছে ফেভারিট ছিল ভারত। কিন্তু কোহলি-ধোনি-ভুবনেশ্বরদের ছাড়া ভারত যে অজেয় নয়, প্রথম ম্যাচেই সেটি দেখিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাই অনুপ্রেরণার উৎস বেশ কিছু আছে বাংলাদেশের। তবে সে সব নিয়ে ভাবছেনই না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়কের চাওয়া, নিজেদের সর্বোচ্চটা উজার করে দেওয়া।

ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের তিন দলের মধ্যে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ভারত। টুর্নামেন্ট শুরু করেছে তারা তিন নম্বরে থেকে। শ্রীলঙ্কা সেখানে আটে, বাংলাদেশ দশে।

এই টুর্নামেন্টে অবশ্য নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনিসহ ভারতের প্রথম পছন্দের ছয় জন ক্রিকেটার নেই। এর পরও দলটির শক্তির গভীরতা ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ভারতকেই এগিয়ে রাখছিলেন অনেক। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেই ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।