ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ১ উইকেটে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ২৮৭ রানের লক্ষ্য ২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে তারা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দোলেশ্বরের। ২৩ রানে দুই ওপেনারকে হারানো দলকে তিনশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া মার্শালের।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে তিনটি ছক্কা আর দুটি চারে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ।
রান তাড়ায় প্রাইম ব্যাংকের শুরুটা ছিল দারুণ। মেহেদী মারুফের সঙ্গে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান মেহরাব জুনিয়র। ৯০ বলে ৮২ রান করা মারুফকে ফিরিয়ে ২৬.৩ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন জোহাইব খান।
আল আমিন জুনিয়র, ইউসুফ পাঠান, নাহিদুল ইসলাম ও জাকির হাসানের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। দ্রুত উইকেট পতনের মধ্যে অবিচল ছিলেন মেহরাব জুনিয়র। বাঁহাতি এই ওপেনারের সঙ্গে সাজ্জাদুল হকের ৪৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফিরে দলটি।
জয়ের জন্য মামুন হোসেনের করা শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। প্রথম বলেই ফিরে যান মনির হোসেন খান। ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে বিদায় নেন সাজ্জাদুল। ৩৮ বলে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে তিনি করেন ৫১।
৩ বলে প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। চতুর্থ বলে শরিফুল ইসলাম নেন দুই রান। এরপরই তালগোল পাকান মামুন। করেন দুটি ‘নো’ বল। প্রথমটিতে ছক্কা হাঁকান শরিফুল। পরের ‘নো’ বল দলকে রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে এনে দেয় দারুণ জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২৮৬/৫ (ইমতিয়াজ ১৪, আরাফাত ৫, মাহমুদ ৪৫, মার্শাল ১৩৫, ফরহাদ ৬৭, রেজা ১, জোহাইব ১*; শরিফুল ১/৬২, নাহিদুল ১/২৬, এনামুল জুনিয়র ০/৪৮, পাঠান ১/১৯, দেলোয়ার ০/৫৯, আল আমিন ০/১৩, মনির ১/৪৬)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯.৪ ওভারে ২৮৭/৯ (মারুফ ৮২, মেহরাব জুনিয়র ১০২, আল আমিন ৩, পাঠান ০, নাহিদুল ৫, জাকির ০, সাজ্জাদুল ৫১, দেলোয়ার ১১, মনির ৭, শরিফুল ৮*, এনামুল জুনিয়র ০*; মামুন ২/৪৬, আরাফাত ০/৩০, সানি ২/৫১, শরিফউল্লাহ ২/৪৭, রেজা ১/৫৫, মাহমুদ ০/২০, জোহাইব ১/৩৭)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্শাল আইয়ুব