ওল্ড হারারিয়ান্সে রোববার ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৯৩ রানে জিতেছে আয়ারল্যান্ড। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ৫৬ রানে জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আয়ারল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে আয়ারল্যান্ড। পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে অধিনায়ক উইলিয়াম পর্টারফিল্ডের ৫৯ রানের জুটিতে শুরুটা ভালো হয় তাদের।
একটু মন্থর শুরু করা আয়ারল্যান্ড আড়াইশ ছাড়ায় অ্যান্ডি বালবার্নি ও নায়াল ও’ব্রায়েনের ব্যাটে। ৭৫ বলে ৬৮ রান করে ফিরেন বালবার্নি। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নায়াল ৩৫ বলে খেলেন ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।
৫৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সেরা বোলার টিম ফন ডেন গুগটেন।
আয়ারল্যান্ডের ইনিংস শেষে বৃষ্টি নামলে অনেকটা সময় খেলা বন্ধ থাকে। আবার খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে নেদারল্যান্ডস পায় ৪১ ওভারে ২৪৩ রানের লক্ষ্য। তবে দলটি ৩২ ওভার ২ বলে থেমে যায় ১৪৯ রানে।
শুরু থেকে উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডস সেভাবে কখনও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি দলটি। দলের সেরা খেলোয়াড় রায়ান টেন ডেসকাটে ফিরেন ২১ রান করে। আরেক ব্যাটিং ভরসা বেন কুপার করেন ১৯ রান।
শেষের দিকে ডের গুগটেনের ৩৩ রানে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় নেদারল্যান্ডস।
২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের সেরা বোলার টিম মারটাগ। দুটি করে উইকেট নেন বয়েড র্যাঙ্কিন, কেভিন ও’ব্রায়েন ও ব্যারি ম্যাকার্থি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত-পাপুয়া নিউ গিনি
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আশফাক আহমেদের সঙ্গে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন রোহান মুস্তফা। ৫৬ বলে ৫০ করে আশফাকের বিদায়ে ভাঙে শুরুর জুটি।
এরপর আর তেমন কোনো জুটি পায়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই ওপেনার ছাড়া বিশের ঘরে যেতে পারেননি আর কেউ। অধিনায়ক রোহান ফিরেন চারটি করে ছক্কা-চারে ১৩৬ বলে ৯৫ রান করে।
৩৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির সেরা বোলার নরম্যান ভানুয়া।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইনিংস শেষে বৃষ্টি নামলে লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকে। আবার খেলা শুরু হলে পাপুয়া নিউ গিনি ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ২৮ ওভারে পায় ১৭০ রানের নতুন লক্ষ্য। দলটি ১৩ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১১৩ রানে।
মোহাম্মদ নাভিদের দারুণ বোলিংয়ে ২৩ রানের মধ্যে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে পাপুয়া নিউ গিনি। চারটি উইকেটই নেন নাভিদ, এর মধ্যে তিনজন হন বোল্ড।
শুরুর ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেনি পাপুয়া নিউ গিনি। বল হাতে সাফল্য পাওয়া ভানুয়া ১০ নম্বরে নেমে ২০ রান করে দলকে নিয়ে যান তিন অঙ্কে। ভানুয়াকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের নাভিদ নেন পাঁচ উইকেট।
২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেরা বোলার পেসার নাভিদ। ইমরান হায়দার ২ উইকেট নেন ২১ রানে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই গ্রুপে খেলছে পাঁচটি করে দল। ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপের সেরা তিনটি করে দল নিয়ে হবে সুপার সিক্স পর্ব। এই পর্বের সেরা দুই দল খেলবে ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপে।